উইটনেস প্রোটেকশন স্কিম বাস্তবায়ন করেছে ত্রিপুরা সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

The real test is not whether you avoid this failure, because you won’t. It’s whether you let it harden or shame you into inaction, or whether you learn from it; whether you choose to persevere.

4 Min Read

বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষীদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উইটনেস প্রোটেকশন স্কিম বাস্তবায়ন করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন ২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম।

 

আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে নতুন ফৌজদারি আইন ও এনডিপিএস আইনে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার উপর আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, নতুন অপরাধ যেমন সন্ত্রাসবাদ এবং মব লিঞ্চিং (গণপিটুনি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। বিরোধীরা প্রায়শই এই জাতীয় আইনগুলির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অতিরিক্তভাবে, এখন সংঘবদ্ধ অপরাধের জন্য বিধান করা হয়েছে এবং নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক জমানার আইন পরিবর্তন করে দেশের নিজস্ব আইন তৈরি করা হয়েছে। যা সাধারন মানুষকে ন্যায় বিচার প্রদানের লক্ষ্যে করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত ও আদালত প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির সমন্বয় করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ১ মার্চ গুয়াহাটিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে সমস্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে নিয়ে এই তিনটি নতুন ফৌজদারি আইনের বিভিন্ন দিক ও বাস্তবায়নের জন্য একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমরাও সেই বৈঠকে যোগদান করেছি। আমাদের কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন ফৌজদারি আইনগুলি নাগরিক কেন্দ্রিক, আরও সঠিকভাবে এবং দক্ষ ন্যায়বিচার ব্যবস্থা তৈরির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনগুলি একটি নাগরিক-বান্ধব, প্রযুক্তি-মাধ্যমে এবং যথাসময়ে বিচার পাইয়ে দেওয়ার উপযুক্ত পদ্ধতি হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাক্ষীদের সুরক্ষা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য উইটনেস প্রোটেকশন স্কিম বাস্তবায়ন করেছে ত্রিপুরা। সামাজিক ভীতির কারণে সাক্ষীদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই স্কিমের অধীনে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারবো বলে আশা রাখি। এই নতুন ফৌজদারি আইন বাস্তবায়নের জন্য এখানে উপস্থিত সকলকে অবশ্যই সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আর এই তিনটি নতুন আইন জনগণের জন্য খুবই উপকারী হবে।

 

আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে এই আইনগুলি থেকে উপকৃত হবেন। এই আইনে আক্রান্ত ব্যক্তির পাশাপাশি অভিযুক্তদের অধিকার সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। নতুন আইনগুলি সঠিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যু সমাধানের জন্য রাখা হয়েছে। যেকোন মামলার ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহ করা, সোর্স চিহ্নিত করা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাঃ সাহা আরো বলেন, রাজ্যে বর্তমানে আইন -শৃঙ্খলা খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং সেটা আরও উন্নতির জন্য কাজ করছে সরকার।এনডিপিএস মামলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এখন যেকোন ব্যক্তি রাজ্যের যে কোনও থানায় এফআইআর দাখিল করতে পারেন। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরকে অবশ্যই সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং নির্যাতিতাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক মানুষ এখনও তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন সম্পর্কে অবগত নয়, এবং এজন্য আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই কাজ করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, আইন সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য ও পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, স্বরাষ্ট্র সচিব (জেল) ব্রিজেশ পান্ডে সহ পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *