Reading:গন্ডাছড়া মহকুমার হরিপুর এলাকায় ওভারহেড ট্যাংক থেকে দূষিত পানীয় জল সরবরাহের অ*ভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় জনগণ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস SDO’র
শারদীয় উৎসব আবহে গন্ডাছড়া মহকুমার হরিপুর এলাকায় জল সম্পদ বিভাগের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ওভারহেড ট্যাংক থেকে সরবরাহকৃত পানীয় জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে মোরগের পাক, চামড়া,মাংস এবং অন্যান্য নোংরা পদার্থ—যা দেখে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় জনরোষ এত তীব্র হয়েছে যে সাধারণ নাগরিকরা ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে জল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে হানা দিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। ফলে সামনে উঠে এসেছে পানীয় জল সরবরাহ দপ্তরের গুরুতর অবহেলা ও অদক্ষতার চিত্র।
হরিপুর এলাকার শতশত পরিবার ওভারহেড ট্যাংক থেকে সরবরাহকৃত পানীয় জলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে জনগণ লক্ষ্য করছে যে জলের স্বাদ ও গন্ধ অস্বাভাবিক—যেন কোনো পচা মাংসের ঘ্রাণ মিশে আছে।সোমবার রাতে একটি পরিবারের সদস্যরা জলের মধ্যে ভাসমান মোরগের পালক ও মাংসের টুকরো দেখে তাদের চোখ কপালে উঠে।আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার সকালে জনরোষ চূড়ান্ত রূপ নেয়।স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট পানীয় জল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে হানা দেয় ।চোখের সামনে ভেসে উঠে ভয়ংকর দৃশ্য।সংশ্লিষ্ট প্ল্যান্টে প্রবেশ করছে নর্দমার নোংরা জল। যার মধ্যে ভাসছে অজস্র মোরগের পালক, চামড়া ইত্যাদি।তাছাড়া প্ল্যান্টের উপরের অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে খালি মদের বোতল, রাতের আঁধারের সরঞ্জাম সহ অন্যান্য বর্জ্য।মনে হবে এটা কোনো ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নয়,তা কোন নর্দমার ড্রেন! যা এতদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা পান করে আসছে।
এদিন সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল সংশ্লিষ্ট জল সম্পদ বিভাগের অফিসের চিত্র। অফিসটি সম্পূর্ণ ফাঁকা—কোনো কর্মচারী নেই।তবে দুজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দেখা মিলল।আর তাদেরকে দূষিত পানীয় জল সরবরাহের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই তারা কিছু জানেনা বলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছিল,আর তখন ক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
এদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মহকুমা সাব-ডিভিশনাল অফিসার চাকচাইকা মগ বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছেন।তখন ক্ষুব্ধ জনতা দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।তখন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ফোনে জানান বিষয়টি সম্পর্কে তিনি খবর নেবেন এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এই খবর নেওয়া’র প্রতিশ্রুতি জনগণের কাছে যথেষ্ট ছিল না যা এদিন ক্ষুব্ধ জনতার মেজাজ দেখে বোঝা গেছে।তাদের স্পষ্ট কথা অনতিবিলম্বে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা এলাকাবাসী বৃহৎত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।