Reading:কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ কলেজে তিন দিন ধরে ক্লাস বন্ধ। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন কলেজে এসে তারা শূন্য হাতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ দপ্তর নীরব দর্শকের ভূমিকায়
কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ কলেজে তিন দিন ধরে ক্লাস বন্ধ। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন কলেজে এসে তারা শূন্য হাতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ দপ্তর নীরব দর্শকের ভূমিকায়
রাজ্যের দ্বিতীয় প্রাচীনতম কলেজ কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে গত তিন দিন ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় চরম ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। প্রতিদিন কলেজে এসে তারা শূন্য হাতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।অথচ দপ্তর নীরব দর্শকের ভূমিকায়।জানা গেছে,উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে কলেজের অধ্যক্ষসহ সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে কলেজ শিক্ষক শিক্ষিকাকে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে।
বর্তমানে কলেজে মাত্র একজন অধ্যাপিকা রয়েছেন। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর মাসে গেস্ট লেকচারারদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে নিয়োগ না হওয়ায় তারাও কলেজে আসা বন্ধ করেছেন। ফলে একজন অধ্যাপিকার পক্ষে পুরো কলেজের পাঠদান স্বাভাবিক রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থায় স্থানীয় সহ দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন কলেজে আসা ছাত্রছাত্রীরা বিপাকে পড়েছে।বহু শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানিয়েছে,তিন দিন ধরে ক্লাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি আগামী আরও কয়েক দিন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা কলেজে ফিরবেন না বলেও তারা জেনেছে।শনিবার,সকাল ৯টা থেকে কলেজ খুললেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেবল এডুকেশন বিভাগের ক্লাস হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত, দর্শনসহ অন্যান্য বিভাগের ক্লাস একটিও হয়নি। এমনকি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কক্ষগুলিও তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
দপ্তরের এই “তুঘলকি সিদ্ধান্তে” কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা লাটে উঠেছে বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ। এদিকে কলেজে একমাত্র উপস্থিত অধ্যাপিকা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।নয়। ফলে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন তুলছে — কলেজের এই সংকটের দায় নেবে কে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, দীর্ঘদিন ক্লাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শাসক ও বিরোধী—কোনো ছাত্র সংগঠনই এ বিষয়ে সরব নয়