২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজধানীর রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে জনসভা। সেই জনসভার মধ্য দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপি বিধায়ক দিবা চন্দ্র রাংখল।
২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন ক্রমশই দোর গোড়ায় এসে হাজির। সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শাসক বিরোধী সব দল প্রচারে ঝড় তুলছে। প্রচারে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না বিরোধী দল কংগ্রেসও। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মসনদে বসার স্বপ্নে বিভোর প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার রাজধানীর রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে জন সভা করল প্রদেশ কংগ্রেস। সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ডক্টর অজয় কুমার, দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী জারিতা লাইট ফ্লাং, বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সমীর রঞ্জন বর্মণ, পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, কংগ্রেস নেতা গোপাল চন্দ্র রায়, আশিস কুমার সাহা প্রমুখ। এই জনসভার মধ্য দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাংখল।
জনসভা থেকে সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বলেন বিজেপি পাঁচ বছরে রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেনি। রাজ্যের বেকার যুবক যুবতি থেকে শুরু করে শিক্ষক কর্মচারী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক কৃষক, দিন মজুর সকলের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে এই পাঁচ বছর। মানুষ এই প্রতারণা বুঝতে পারছেন। ২০২৩ এর বিধান সভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে একটা সুযোগ দেবার আর্জি জানিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ।
সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ডক্টর অজয় কুমার বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই বিজেপি দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। ২০১৮ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। রাজ্যের মানুষ ২০২৩ সালের বিধান সভা নির্বাচনে এর জবাব দেবেন।
সেই জনসভা থেকে বিজেপি জোট সরকারের প্রতারণার দলিল প্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিকে পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা অভিযোগ করেন দক্ষিণ ত্রিপুরার কংগ্রেস কর্মীদের আগরতলা রেল ষ্টেশনে আটকে দিয়েছে শাসক দলের দুষ্কৃতিকারীরা। তারা জন সভায় উপস্থিত হতে পারেন নি বলেও অভিযোগ করেন পিসিসি সভাপতি।