২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের রাজ্য সরকারের বাজেটকে অগোছালো, দিশাহীন বাজেট বলে অভিহিত করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। দলের রাজ্য দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাজেটকে দিশাহীন বলে আখ্যায়িত করেন রাজ্য সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের রাজ্য সরকারের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা।এই বাজেটকে অগোছালো, দিশাহীন বাজেট বলে অভিহিত করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। শুক্রবার দলের রাজ্য দফতরে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন দলের রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, বাজেটে আয়ের সঙ্গে ব্যয় এর কোন সামঞ্জস্য নেই। বাজেটে লিখার মধ্যে কোন মিল নেই। সুস্পষ্ট করে কোন কিছুই উল্লেখ নেই। কোথা থেকে অর্থ আসবে? কিভাবে খরচ করা হবে? তা উল্লেখ নেই। তিনি বলেন বাজেট করলেই তো হবেনা? বছরের শেষে অর্থ উঠে আসতে হবে। এটা বণ্টন করতে হবে। এটা ব্যয় হবে। কোন না কোন প্রকল্পে রূপায়িত হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, ভিশন ডকুমেন্টের প্রতিশ্রুতি পূরণের বিন্দু মাত্র প্রচেষ্টা সরকারের নেই। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নতুন সরকারের প্রথম বাজেটেই সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করা হবে। চার বছর পরে বাজেটে বলেছে ভাতা দুই হাজার টাকা করা হবে। এমজিএন রেগার মজুরি বৃদ্ধি, শ্রম দিবস বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভিশন ডকুমেন্টে। কিন্তু এবারের বাজেটে এই বিষয়ে উল্লেখ নেই।
সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, রাজ্য সরকার সরকারি চাকুরির দরজা এক প্রকার বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ চাকুরিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন বহু জুমলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অমিত সাহ। চার বছর পরে আবার জুমলা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
এফভিও/ প্রসঙ্গত শুক্রবার সিপিআইএম রাজ্য দফতরে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান রাজ নৈতিক পরিস্থিতি, দলের আগামী কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।