অপরাধী প্রদীপ দেব রায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বাড়ি থেকে সাবল নিয়ে প্রথমেই হত্যা করে তার দুই শিশু সন্তানকে। এর পরই সে তার স্ত্রী মিনা পাল দেব রায় কে শাবল দিয়ে আক্রমণ করে। আহত হয়ে ও তিনি ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে লাফিয়ে জঙ্গলে চলে যান নিজের আত্মরক্ষা করেন। দুটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে প্রদীপ শাবল হাতে নিয়ে তার বড় ভাই অমলেশ দেব রায় কে বাড়ির উঠানে ফেলে হত্যা করে। তিনটি হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত সাড়ে এগারোটায় হোয়াই থানার ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক টিএসআর সঙ্গে নিয়ে আসে ঘটনাস্থলে। সত্যজিৎ মল্লিক গাড়ি থেকে নামতেই উনার মাথায় শাবল দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে প্রদীপ।
সঙ্গে সঙ্গেই রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এই ঘটনা দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা থানায় ঘটনা জানালে ছুটে আসেন একাধিক পুলিশ অফিসাররা। এরইমধ্যে কৃষ্ণ দাস নামে এক ব্যক্তি উনার পরিবার নিয়ে একটি অটোরিক্সাতে করে লাল টিলার দিকে যাচ্ছিলেন। প্রদীপ গাড়িটিকে আটকে কৃষ্ণ দাস কে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার উপর নৃশংসভাবে হত্যা করে। পিতা কে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে কর্ণবীর দাস শাবলের আঘাতে আহত হন।
পরবর্তী সময়ে রাতেই গুরুতর জখম পুলিশের ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক মিনা পাল দেব রায় এবং কর্ণবীর দাস কে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে রাতেই পাঠানো হয় জিবি হাসপাতালে। এরইমধ্যে রক্তক্ষরণ হতে হতে ইন্সপেক্টর সত্যজিৎ মল্লিক জিবি যাবার পথে মারা যান। শেষে রাত দেড়টায় কুখ্যাত খুনি প্রদীপ দেব রায় কে পুলিশ আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে সংঘটিত ঘটনার পর শনিবার সকালে লালটিলা গ্রামের ছুটে আসে মহকুমা প্রশাসন সহ আরক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পরে আগরতলা থেকে আসে ফরেনসিক টিম। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে লালটিলা শেওলা তলির জনগণ বলছেন প্রদীপ দেব রায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ঠিক কী কারণে সে এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত করল তাকেও বুঝে উঠতে পারছেন না!