সমাজের যুবকদের একাংশের পাশাপাশি স্কুলের কচিকাঁচাদেরও নেশা দ্রব্য বিক্রির জন্য টার্গেট করেছে নেশা কারবারিরা। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় নেশা দ্রব্য বিক্রি করতে এসে হাতেনাতে পাকড়াও নেশা কারবারির এক চাই। রাজধানীর গোয়ালা বস্তির দিল্লি পাবলিক স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মদ,গাঁজা,ফেন্সিডিল,কোরেক্স,ট্যাবলেট,ড্রাগস ইত্যাদির মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা ত্রিপুরাকে নেশা মুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের নেশা দ্রব্য বিক্রি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মত পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা নেশাদ্রব্য যেমন উদ্ধার করছে তেমনি এই চক্রের পাণ্ডাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করছে। তাতে পুলিশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পাচ্ছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে নেশা কারবারিরা এখন স্কুলের কচিকাঁচাদের নেশা দ্রব্য বিক্রির জন্য টার্গেট করেছে। এই লক্ষ্যেই স্কুলের আশেপাশে নেশা দ্রব্য নিয়ে হাজির হচ্ছে। কারণ স্কুলের পড়ুয়াদের যদি নেশার খপ্পরে ফেলা যায় তাহলে তাদের বিক্রি অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। এমনই একটি নেশা চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে এন সিসি থানার পুলিশ।
গোপন সূত্রে এন সিসি থানার পুলিশের কাছে খবর আসে গোয়ালা বস্তির দিল্লি পাবলিক স্কুল সংলগ্ন স্থানে প্রচুর পরিমান নেশা সামগ্রী নিয়ে দুই যুবক আসবে। এই খবরের ভিত্তিতে এসডিপিও এবং এন সিসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আগে থেকেই উৎ পেতে বসে থাকে। দুই যুবক আসতেই পুলিশ তাদেরকে ঘেরাও করে। টুনটুন রায় নামে নেশা কারবারির এক চাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তার কাছ থেকে ৩০০ কৌটা ব্রাউন সুগার এবং এক হাজার শূন্য কৌটা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ব্রাউন সুগারের মূল্য লক্ষাধিক টাকা।তবে এই চক্রের আরেক পাণ্ডা পালিয়ে যায়। সাংবাদিকদের একথা বলেছেন এন সিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব।
বুধবার অভিযুক্ত যুবককে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। যদিও অপর নেশা কারবারির টিকির নাগাল পায়নি পুলিশ আধিকারিকরা।