সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতি গ্রস্ত শিক্ষকদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাঁচার তাগিদে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর শরনাপন্ন ক্ষতিগ্রস্তরা। চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার
মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও ধর্না কর্মসূচী পালন করেন ক্ষতিগ্রস্ত ১০৩২৩ শিক্ষকরা। টানা ৬ ঘণ্টা যাবত চলে এই আন্দোলন। পরে পুলিশের তৎপরতায় সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠি দিয়েই আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেন ক্ষতি গ্রস্ত শিক্ষকরা।
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন দোর গোড়ায় এসে হাজির। সুপ্রিম কোর্টের আরটিআই মোতাবেক চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও ধর্নায় বসেন ক্ষতিগ্রস্ত ১০৩২৩ শিক্ষকরা। সকাল ন টা থেকে বিকাল তিন টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ ও ধর্না। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের ধর্নাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় তীব্র যান জট। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা সেখানে এসে হাজির হয়। কিন্তু পুলিশ আন্দোলন কারীদের কোন ভাবেই রাস্তা থেকে তুলতে পারছিলেন না। পরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর পুলিশের গাড়িতে করেই দুই জনের এক প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে চিঠি ইস্যু করেন। সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন। এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের মুখ মুখী হয়ে বলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক প্রদীপ বনিক।
আন্দোলন সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক প্রদীপ বনিক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোথাও বলা হয়নি ১০৩২৩ শিক্ষকদের চাকুরি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। অথচ রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করে ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকুরি থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আর টি আই মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের চাকুরি ফিরিয়ে দেবার দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী আইন সচিব এবং রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলের সামনেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি এই বিষয়ে শীঘ্রই একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করছেন না।
তবে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী সভা এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার।