সত্যি এবং মিথ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে দেওয়াই সংবাদমাধ্যমের কাজ। ফেক নিউজ গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে না পারলেও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।সংবাদমাধ্যমের কাজ হল সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘন না করে সত্যি তুলে ধরা।বক্তা দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুর।সেইসাথে তিনি বলেন,ফেক নিউজ একই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। আর এটা গণতন্ত্রের মূল ভাবনার পরিপন্থী।
ফেক নিউজ অর্থাৎ ভুয়ো খবর গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে।
দুটি পৃথক সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি বাঁধাতে পারে।
দেশের সংবাদমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশন পদ্ধতি এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে বুধবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়।তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দেশে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব দীর্ঘায়িত করতে হলে সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
তিনি বলেন,সত্যি এবং মিথ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে দেওয়াই সংবাদমাধ্যমের কাজ। ফেক নিউজের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে না পারলেও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সংবাদমাধ্যমের কাজ হল সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘন না করে সত্যি তুলে ধরা। সাংবাদিকতা সত্যের পথপ্রদর্শক। প্রধান বিচারপতি বলেন, ডিজিটাল যুগে আমাদের বহু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই সময় সাংবাদিকদের সঠিক, নিরপেক্ষ এবং নির্ভীক সংবাদ পরিবেশন করাটা ভীষণ জরুরি।তাঁর মতে,ফেক নিউজ একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা এবং স্বতন্ত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। সংবাদ পরিবেশনের গোটা প্রক্রিয়া থেকে কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব বা অন্যায় দূর করাটা সাংবাদিকদের এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের দায়িত্ব।ফেক নিউজ একই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। আর এটা গণতন্ত্রের মূল ভাবনার পরিপন্থী।
তবে এদিন তিনি নির্দিষ্ট কোন সংবাদমাধ্যমের নাম না করলেও বর্তমান প্রেক্ষিতে দেশের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় যে তিনি অসন্তুষ্ট সেটা একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “দায়িত্ববান সাংবাদিকতা সেই ইঞ্জিন যা আমাদের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যায় আরও ভাল ভবিষ্যতের দিকে।” তাঁর স্পষ্ট বার্তা,প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্ন করতে পারে এমন সংবাদমাধ্যমকে উৎসাহ দেওয়াটাই স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের কাজ হওয়া উচিত।