বর্তমানে কেউই পরনির্ভর হতে চায় না, সকলেই স্বনির্ভর হতে চায়। তবে পূর্ববর্তী সরকার স্বনির্ভর ছিল না এবং পূর্ববর্তী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিধায়করা অন্যকে দোষারোপ করতেন এবং নিজেরাই বেঁচে যেতেন। বক্তা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ।
সমস্ত নাগরিক যেন সরকারী সুবিধা উপভোগ করে নিজেকে স্বনির্ভর এবং সমাজকে স্বনির্ভর করতে পারে তার জন্য স্বনির্ভর ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তারই অঙ্গ হিসাবে শনিবার সিপাহীজলা জেলা প্রশাসন এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় স্বনির্ভর ক্যাম্প। এদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ দাস, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, ত্রিপুরা খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত সহ অন্যান্যরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ দাস, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, ত্রিপুরা খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত সহ অন্যান্যরা। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ব্যাংক এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানির স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব । পাশাপাশি অনুষ্ঠানের শুরুতে বাল্যবিবাহ রোধের উপর শপথ বাক্য পাঠ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন জনসাধারনের সুবিধার্থে বৎসরে দুই বার প্রতিটি গ্রামে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন বর্তমানে কেউই পরনির্ভর হতে চায় না, সকলেই স্বনির্ভর হতে চায়। তিনি বলেন পূর্ববর্তী সরকার স্বনির্ভর ছিল না এবং পূর্ববর্তী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিধায়করা অন্যকে দোষারোপ করতেন এবং নিজেরাই বেঁচে যেতেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন স্বনির্ভর মানসিকতা একজন মানুষকে প্রখর ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তিনি আরো বলেন যে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সাধারণ মানুষকে ব্যাংক থেকে লোন নিতে অনেক হয়রানি হতে হতো, কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাংক সাধারন মানুষকে লোন দেবার জন্য নিজেই ছুটে আসে। তিনি বলেন পূর্ববর্তী সরকারের আমলে ব্যাংক ১৪ শতাংশ সুদে লোন দিত, কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাংক ৭ শতাংশ সুদে লোন দেয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন বর্তমানে কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই প্রথমবার দুর্গোৎসবের প্রাক মুহূর্ত্বে সমস্ত আশা কর্মীদের ২ হাজার টাকা অগ্রীম দেওয়া হয় এবং ৫০০ টাকা অধিবৃত্তি দেওয়া হয়। তিনি বলেন বর্তমান সরকার শুধু মুখে বলে না বরং কাজ করে দেখায়। তিনি বলেন পূর্ববর্তী সরকার সাধারণ মানুষের ঘরে সঠিকভাবে জল পৌঁছে দিতে পারেনি , কিন্তু বর্তমান সরকার আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে জল পৌঁছে দেবে ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আছে বলেই ত্রিপুরাতে ১০০ শতাংশ টিকা সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন গত বছর করানোর জন্য উদয়পুরের মাতাবাড়িতে মেলা হয় নি, কিন্তু এই বছর দীপাবলিকে কেন্দ্র করে মাতাবাড়িতে মেলা হবে বলে জানান, এবং সকলে উক্ত মেলায় আনন্দ উপভোগ করার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অনুষ্ঠানে মোট ৪২ টি স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদেরকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে, কে সি সি কার্ডের আওতাধীন বেনিফিশিয়ারিদের দেড় লক্ষ টাকা ৬০ টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দপ্তর থেকে ২৯ টি পরিবারকে মাছের পোনা দেওয়া হয়, পশু পালন দপ্তর থেকে কে সি সি লোনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় ৩০ টি পরিবারকে, এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার আওতাধীন ১০ জনকে লোন দেওয়া হয়।