একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির মোটা মাইনে তো অপরদিকে টিসিএতে সিনিয়র টিমের নির্বাচক। বেশ ভালোভাবেই দুজন নির্বাচককে সেট করেছে তিমির চন্দ। এই দুই নির্বাচক হলেন অলক সাহা এবং সুব্রজিত রায়। অলক সাহা নেপকোতে কর্মরত তো শুভ্রজিত রয়েছেন এজি অফিসে। প্রশ্ন হলো তারা কিভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করে একই সঙ্গে টিসিএতে নির্বাচকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। প্রাপ্ত খবর এরকম যে, দুই জায়গা থেকেই নাকি অর্থ উপার্জন করে চলেছেন তারা। এই সুযোগ তিমির চন্দই তাদের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন হলো, তারা ছাড়া ও এমন অনেক ভালো মানের রঞ্জি ক্রিকেটার রয়েছেন রাজ্যে যারা বেকার। অথচ সেই সব লোকেদের সুযোগ না দিয়ে তিমির নিজের পছন্দের এই দুইজনকে বেঁছে নিলো
সিনিয়র দলের নির্বাচক হিসেবে। কথা প্রসঙ্গে একটা বিষয় ধরে নেয়া যাক, তা হলো অলক সাহা এবং শুভ্রজিত রায় যদি বিনা পারিশ্রমিকে এই কাজ করে থাকেন তা আলাদা বিষয়। কিন্তু খোজ নিয়ে দেখা গেল, তারা দুজনেই টিসিএ থেকে
নির্বাচকের পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এটা কি করে সম্ভব। টিসিএর সংবিধান অনুযায়ী তারা তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এর মধ্যে পড়ে যাবেন। তবে এগুলোর খোঁজ কে রাখে। অভিযোগের তীর সেই তিমিরের দিকেই। টিসিএর সহ সভাপতির চেয়ারটাকে কাজে লাগিয়ে সঙ্গে সচিব তাপস ঘোষের মাথায় টুপি পরিয়েই এই সব কিছু করে চলেছে তিমির বলেই অভিযোগ করলেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার। বর্তমানে টিসিএতে সব তিমিরের লোকের আধিক্য রয়েছে। একটা আলপিন কেনা থেকে যাবতীয় যত ধরনের টেন্ডার হচ্ছে সব কিছুতেই নাকি কমিশন দিতে হচ্ছে তিমিরকে। এত এত পরিমান অর্থের লোভ যে তিমিরের রয়েছে বিষয়টা এতদিন চাপা থাকলে ও এখন সব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যেগুলো দেখে টিসিএর বাকি প্রতিনিধিরাও হতবাক। এককথায় কমিশন লাগবেই লাগবে তিমিরের। এই হুলিয়াটা তিমির জারি করে দিয়েছে টিসিএতে। সঙ্গে তার কয়েকটি চামচা ও আছে বর্তমানে টিসিএতে। যাদের কাজই হচ্ছে শুধু তিমিরের প্লেন গুলোকে বাস্তবায়িত করা। এই ভাবে তো রাজ্য ক্রিকেট সংস্থ্যা চলতে পারে না। একজন বাম মার্কা লোক দিনের পর দিন তার দাদাগিরি বহাল রাখবে টিসিএতে, এটা কি করে সম্ভব। অলক সাহা, শুভ্রজিত ছাড়া ও এমন অনেক বেকার রঞ্জি ক্রিকেটার রয়েছেন রাজ্যে, যাদের অভিজ্ঞতা ও তাদের থেকে বেশি। তাহলে কেন এই সব লোকেদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না টিসিএতে। তিমিরের লোক না হলে কি টিসিএতে যোগ্য লোকের কোনো জায়গা নেই, প্রশ্ন আম জনতার।
তিমিরের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ টিসিএর অনেকেই। নিজের মার্জিমাফিক টিসিএতে যা খুশি তা করে চলেছে এই বাম মার্কা তিমির। নির্বাচক থেকে শুরু করে দপ্তরির কাছ থেকে ও কমিশন নিতে বিন্দুমাত্র ভুল করছে না এই তিমির।নিজের পছন্দের দুই নির্বাচক অলক সাহা এবং শুভ্রজিত রায়কে দিয়ে যা খুশি তা করে চলেছেন এই তিমির বলেই অভিযোগ। এই ভাবে আর কতদিন চলবে টিসিএ, প্রশ্ন আমজনতার।