রাজ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে অস্বস্তি ক্রমশঃই বাড়ছে।গতবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গে মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন নজির সৃষ্টি করছে পারদের উর্ধগতি।আবহাওয়া অফিসের বক্তব্য,আগামী ১৭ এপ্রিলের আগে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।শনিবার নববর্ষের দিন রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর ।
রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলছে ।প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ।২০২২ সালে রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।চলতি বছর গত মঙ্গলবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেয় পারদের উর্ধগতি ।মঙ্গলবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮.৩ডিগ্রি সেলসিয়াসে।বৃহস্পতিবার আরো বৃদ্ধি পেয়ে রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ পৌছয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।শুক্রবার চৈত্র সংক্রান্তির দিন রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সর্বোচ্চ স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।এদিন রাজ্যের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ।আবহাওয়া অফিসের আধিকারিক জানান,আগামী ১৬ এপ্রিলের আগে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনানেই ।১৭ই এপ্রিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে।এদিকে আবহাওয়াবিদদের মতে, এভাবে পারদের উর্ধগতি চলতে থাকলে আর বৃষ্টি না হলে চলতি এপ্রিল মাসেই গত ৬৩ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন নজির সৃষ্টি করতে পারে তাপমাত্রা ।উল্লেখ্য, ৬৩ বছর আগে, ১৯৬০ সালে রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।এটাই এখন পর্যন্ত রেকর্ড ।এমনটাই তথ্য আবহাওয়া দপ্তরের।তাপমাত্রা র এই অবস্হান থাকলেও তা অনুভূত হচ্ছে আরো বেশি।এতে জনগনের অস্বস্তি আরও বাড়ছে।একমাত্র বৃষ্টি বা কালবৈশাখিই রাজ্যবাসীর এই অস্বস্তি ও সেই সাথে ক্লান্তি দূর করতে পারে।কিন্তু এই মুহুর্তে রাজ্যে বৃষ্টি বা কালবৈশাখী কোনটারই সম্ভাবনা নেই ।