হোটেল ব্যবসার আড়ালে দেহব্যবসার রমরমা। পুলিশের জালে দুই জোড়া কপোত কপোতি।ঘটনা রবিবার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র জিবি বাজারে।পুলিশ হোটেল মালিক বাদল বনিককে গারদে পুড়েছে।
ইনি হচ্ছেন শ্রী যুক্ত বাদল বণিক।জিবি বাজারের এককালের সেরা মুদি ব্যবসায়ী।নিজের কুচরিত্রের কারনে হালে তিনি হোটেল ব্যবসায়ী।হোটেল ব্যবসা তো বেশ ভাল কথা।কিন্তু না,এই হোটেল ব্যবসার আড়ালে এই গুণধর ব্যবসায়ী গড়ে তুলছেন অবৈধ দেহব্যবসা।তিনি বেশ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।আর তা স্থানীয় শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের নজর এড়িয়ে যায় নি।রবিবার এমনই ন্যাক্কার জনক ঘটনা সেই হোটেলের ভেতরে।সাথে সাথে পুলিশ কে এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ।এবং তল্লাশি চালিয়ে হোটেল কক্ষ থেকে দুই জোড়া কপোত কপোতিকে আটক করে।এই হোটেলে যে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ দেহব্যবসা চলছে তা এদিন পুলিশের জালে আটক এক যুবকের জবানবন্ধীতে স্পষ্ট হয়ে যায়।
পুলিশের হাতে আটক যুবক এদিন কি নাটকটাই না করল ক্যামেরার সামনে।তার কথা শুনলে মনে হবে,যেন সে ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে পারে না।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় হোটেল মালিক বাদল বণিককে দেখা গেছে পুলিশের সামনে আরেক প্রস্ত অভিনয় করতে।এই গুণধর পুলিশের সামনে এমন ভাব করল যাতে অনেকের মনে হবে উনার অজ্ঞাতে হয়ত এই ঘটনা ঘটেছে।আসলে কিন্তু মোটেও তা নয়।তিনি হচ্ছেন এই সমস্ত অপকর্মের নাটের গুরু।এই নোংরা পেশায় সে সিদ্ধহস্ত।যাই হোক শেষ পর্যন্ত পুলিশ হোটেল মালিকবাদল বনিককে এই সমস্ত অবৈধ কারবারের সাথে যুক্ত থাকার অপরাধে গারদে পুড়েছে।স্থানীয়দের দাবি এই ধরনের অবৈধ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।কারন এই ধরনের মানুষ ব্যবসায়ী নামের কলঙ্ক।উপরন্তু সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মানুষ রুপী এই সমস্ত কীটগুলি অন্যতম অন্তরায়।এখন দেখার পুলিশ এই নিয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।কারন এই হোটেলে এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ নুতন কিছু নয়।কিন্তু জিবি আউট পোস্টের নাকের ডগায় এই অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটতে থাকলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নিশ্চুপ।অনেকের অভিযোগ একাংশ খাকি উর্দিধারী নগদ কাঞ্চন মূল্যের বিনিময়ে এই সমস্ত সমাজ অহিতকর বিষয় সম্পর্কে জেনেও নাকে তেল দিয়ে নিদ্রায় ব্যস্ত থাকে।আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বাদল বণিকের মত কত শত ব্যবসায়ী এই সমস্ত সেক্স রেকেট অবলীলায় চালিয়ে যাচ্ছে।আর তাতে করে যে পুলিশকে বদনাম সহ্য করতে হচ্চে তা বলাই বাহুল্য।