পাহাড় ছেড়ে এবার সমতলে! ময়দান দখলে মরিয়া মহারাজার তিপ্রা মথা দল। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য পরিলক্ষিত হল ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জারইলং বাড়ি এলাকায়।
আপাততঃ লক্ষ্য 12 মার্চ এর আস্তাবল ময়দানের জনসভা।কিন্তু মূল লক্ষ্য 2023 বিধানসভা নির্বাচন। তাই পাহাড় ছেড়ে এবার সমতলের ময়দান দখলে মরিয়া তিপ্রা মথা দল।মঙ্গলবার তিপ্রা মথা দলের উদ্যোগে জারইলং বাড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো এক যোগদান সভা। ত্রিপরা মাথার দাবি অনুসারে এদিনের এই যোগদান সভায় বিজেপি এবং সিপিআইএম দলত্যাগ করে ৭৩ পরিবারের ২০৩ জন ভোটার মহারাজার তিপ্রা মথা দলে যোগদান করে
এদিনের এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের নির্বাহি কার্যকরী সদস্য কমল কলই, মথার খোয়াই জেলা সভাপতি রঞ্জিত কুমার দেববর্মা সহ তিপ্রা মথা দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিনের এই যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিপ্রা মথা দলের নেতা কমল কলই
বলেন,আগামী দিন ত্রিপুরার জনজাতি অংশের মানুষজনদের উন্নতির স্বার্থে তিপ্রা মথা দল সর্বদা কাজ করে যাবে।
রাজনৈতিক তথ্য বিজ্ঞ মহলের মতে,ত্রিপরা মথা পাহাড়ের 20 টি বিধানসভা আসন ছাড়াও সমতলের 15 টি আসনকেও টার্গেট করেছে ।এবং সেই অনুসারে নির্দিষ্ট সাংগঠনিক রণকৌসলে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।এখন এটাই দেখার আগামী দিন রাজ্যের পাহাড়ের রাজনৈতিক জমি দখলে রেখে তিপ্রা মথা দল কতটা কি করতে পারে।কারন বিগত এডিসি নির্বাচনে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে এডিসি দখল করেছিল ত্রিপরা মথা সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতির এখনো অনেকাংশই পূরণ করতে পারেনি।ফলে গোটা পাহাড়ে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণের মধ্যে। আর এই চাপা ক্ষোভকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপরা মথার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে ত্রিপরা মথা বিরোধী দলগুলো ।তবে গ্রেটার ত্রিপরা ল্যান্ড ইস্যুকে আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত কতখানি চাঙ্গা রাখতে পারে ত্রিপড়া মথা তাই এখন দেখার।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি অনুসারে রাজ্যসভারপাঁচ রাজ্যের 13 টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী 31 মার্চ। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচন নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোর তৎপরতা ।যদিও এক্ষেত্রে শাসক দল বিজেপিরই পাল্লা ভারী। কারণ বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির সদস্য সংখ্যা 33। অপরদিকে শাসক জোটের ছোট শরীক আইপিএফটি’র আসন সংখ্যা আট।তবে ইতিমধ্যে আইপিএফটি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। যদিও বৃষকেতু দেববর্মা বিধায়ক পদের বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীর বিবেচনাধীন রয়েছে। তাছাড়া বৃষকেতু দেববর্মা বিধায়ক পদে পদত্যাগ করার পর থেকে এ পর্যন্ত বিধানসভায় পা মারান নি ।সেই অর্থে
আইপিএফটির বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা সাতজন। অপরদিকে বিরোধী দল বামেদের সদস্য সংখ্যা 15। বিধানসভার শাসক ও বিরোধী দলের শক্তির বিচারে এই অবস্থান থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত আসন্ন রাজ্যসভার নির্বাচনে শাসক দলের মনোনীত প্রার্থীর জয় লাভ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে শাসক দল কাকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে সেই বিষয়ে গুঞ্জন চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে। তবে তথ্য বিজ্ঞ মহলের মতে রাজ্যের শাসক দল বর্তমানে মহিলা ও
যুবদের ওপর বিশেষ নজর দিয়েছে ।সাংগঠনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই হিসেবে শাসকদলের রাজ্যসভার সাংসদ পদে কে টিকেট পায় তাই এখন দেখার।