ভোলানাথের সুখটান সামগ্রীতে নজর পুলিশের। নেশা বিরোধী অভিযানে ফের সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে পণ্যবাহী লরি থেকে ৪ লক্ষ টাকার শুকনো গাঁজা উদ্ধার। মুঙ্গিয়াকামি বাজার সংলগ্ন এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে লরিতে তল্লাসি চালিয়ে এই গাঁজা উদ্ধার করে নিরাপত্তা রক্ষীরা। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক।
রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে নেশা মুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে। আর এই কাজে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের কঠোর উদ্যোগ নেবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। সরকারের এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। সেই মত গাঁজা বিরোধী অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে সি আর পি এফ, টি এস আর এবং ত্রিপুরা পুলিশ। শুক্রবার ভোরে মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন মুঙ্গিয়াকামি বাজার সংলগ্ন এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে একটি লরিতে তল্লাসি চালিয়ে ৪ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার করে। ঘটনা সম্পর্কে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসুন কান্তি ত্রিপুরা বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেলিয়ামুড়া এবং মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ মুঙ্গিয়াকামি এলাকায় MH05AM 2084 নম্বরের একটি কন্টেনার গাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ প্যাকেট অর্থাৎ ৩৫০ কেজি শুকনো গাঁজা আটক করতে সক্ষম হয়। সাথে ভূষণ রায় নামে বিহার রাজ্যের গাড়ির চালককে আটক করে মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ। আটকৃত গাজার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। গাঁজাগুলি আগরতলা থেকে বহিঃরাজ্য যাচ্ছিল।
আগরতলা থেকে মুঙ্গিয়াকামী পর্যন্ত রাস্তায় বেশ কিছু থানা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। রাস্তায় রয়েছে বেশ কিছু নাকা পয়েন্ট। দিবা রাত্রি চলে এইসব নাকা পয়েন্টে তল্লাসি অভিযান। এরপরেও কিভাবে আগরতলা থেকে মুঙ্গিয়াকামী পর্যন্ত গাঁজা নিয়ে লরি পৌছাল এনিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের ভূমিকায় জনমনে প্রশ্ন রয়েই গেল। তবেকি নিরাপত্তা কর্মীদের মেনেজ করেই চলছে গাঁজা পাচার?