ভুয়ো খবরের যুগে খুন করা হচ্ছে প্রকৃত সত্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে ‘বীজ’ মহিরুহ ‘বৃক্ষে’ পরিণত হচ্ছে। একটি সম্পূর্ণ তত্ত্বে পরিণত হচ্ছে। যার সঙ্গে যুক্তি বা বিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই।”সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মিথ্যে খবরের ভিড়ে চাপা পড়ছে সত্য। আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০২৩-এর মঞ্চে এই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।সেইসাথে প্রধান বিচারপতির আক্ষেপ, সহনশীলতা কমছে, ভিন্নমত গ্রহণ করতে রাজি নয় অধিকাংশই।
গ্লোকালাইজেশনের যুগে আইন।ভারত এবং পশ্চিমের অভিসার’। এই শিরোনামে আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০২৩ অনুষ্ঠিত হল।এই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে নিজের বক্তব্য জানান তিনি। পাশাপাশি সমাজমাধ্যমের ভুয়ো খবর নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন,
“ভুয়ো খবরের যুগে খুন করা হচ্ছে প্রকৃত সত্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে ‘বীজ’ মহিরুহ ‘বৃক্ষে’ পরিণত হচ্ছে। একটি সম্পূর্ণ তত্ত্বে পরিণত হচ্ছে। যার সঙ্গে যুক্তি বা বিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই।”প্রধান বিচারপতি জানান, একটা সময় অবধি ইন্টারনেট ছিল না, সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, গোপনীয়তার ধারণাও ছিল না। আজকাল একটি ছোট জিনিস নিয়েও ট্রোলড হওয়ার আতঙ্ক তৈরি হয়। এমনকী একজন বিচারপতির মনেও ভাবনা কাজ করে।আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০২৩-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতির বার্তা, সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লির তিলক মার্গের সর্বোচ্চ আদালত নয়, বরং এটি দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ নাগরিকের আবেগ-আকাঙ্খার প্রতিনিধি।
এরপরেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী আধিপত্যে মানব সভ্যতা প্রসারিত হয়েছে বটে, কিন্তু মানুষের মধ্যে ধৈর্য এবং সহনশীলতার অভাব দেখা যাচ্ছে আজ। ভিন্নমত গ্রহণে রাজি নয় কেউ। আমি মনে করি এটাও প্রযুক্তিরই ‘বাইপ্রোডাক্ট’। এই যুগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও। যদিও প্রযুক্তির হাজারও ভাল দিক রয়েছে।” বিচারপতি বলেন, “মহামারীর সময় ভিডিওকল যা করেছে তাকে বলা যায় বিচার ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ।” প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে,এর ফলে আরও বেশি মানুষ বিচার ব্যবস্থার সুবিধা পাবেন।