ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও মজবুত।ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন হল শনিবার।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধান মন্ত্রী।উদ্বোধনের দিনেই সরবরাহ করা হয়েছে এক কোটি লিটার ডিজেল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুঁড়ি থেকে শনিবার পাইপলাইনে বাংলাদেশের ডিজিল সরবরাহের উদ্বোধন করেন।উদ্বোধন ঘিরে ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে হাসিনা-মোদির ছবি সম্বলিত বড় সাইজের হোডিং। উদ্বোধনের দিনেই এক কোটি লিটার জ্বালানি তেল ডিজেল পাবার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। পাইপলাইন নির্মিত হওয়ায় বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজিল আমদানি করতে পারবে। তাতে খুব সহজে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে ১৬টি জেলায় ডিজেল সরবরাহ করা যাবে।উল্লেখ্য,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের আমদানি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। আগে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমাদানি করতো বাংলাদেশ। সেই মুহূর্তে পাইপলাইনে তেল আমদানি অনেকটা ব্যয় সাধ্য বলে উল্লেখ করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ।সেইসাথে তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবহের লাভবান হবে বাংলাদেশ।
ইতিমধ্যে ভারতের আর্থিক সহায়তায় ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটার সহ প্রায় ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।খবর,পাইপলাইনে ১৫ বছর ডিজেল আমদানি করা হবে। প্রথম ৩ বছর দুই লাখ মেট্রিক টন, পরবর্তী তিন বছর তিন লাখ, পরবর্তী চার বছর পাঁচ লাখ, অবশিষ্ট পাঁচ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির কথা রয়েছে।দিনাজপুরের পার্বতীপুরের পুরনো ডিপোতে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। সেখানেই আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণ করা হবে। নতুন ডিপোর কাজ চলমান রয়েছে। ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আসলে সাশ্রয় হবে এবং কমবে পরিবহন ব্যয়।এদিকে চলতি বছরই নতুন ডিপোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হচ্ছে।নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া সাপেক্ষে পাইপলাইনে আমদানি করা ডিজেল রাখা হবে পার্বতীপুরের পুরনো ডিপোতে।
ঢাকা থেকে এ. এইচ. ঋদ্ধিমানের রিপোর্ট