রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বারবার অভিযোগ করে চলছে পুলিশ তাঁদের সভা সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। বিরোধী দলগুলোর এই অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার ধর্মনগরে। এদিন শাসক দলের সমাবেশ থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠিত হলো কংগ্রেস দলের যোগদান সভা। 100 মিটার দূরত্বের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত দুটি রাজনৈতিক দলের সভা কে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর কিরণ কুমার কে।
বিজিপি আইপিএফটি জোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার ধর্মনগর কালি দিঘির পারে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির 56 নং ধর্মনগর মণ্ডল কমিটি এই জনসভার আয়োজন করে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ধর্মনগর বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবন থেকে এক মিছিল সংগঠিত করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কালি দিঘির পারে সভাস্থলে মিলিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন, জেলা সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ ,মন্ডল সভাপতি শ্যামল নাথ সহ অন্যান্যরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন দ্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ধর্মনগরের মাটি বিজেপির দুর্জয় ঘাঁটি। এখানে কোন ধরনের কাজ সাজি চলবে না। এতদিন সিপিএম এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এখন লড়াই হবে সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে।
এদিকে মঙ্গলবার বিজেপি সমাবেশস্থলের 100 মিটারের মধ্যে ধর্মনগর জেলা কংগ্রেস ভবনে কংগ্রেস দলের এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরাজিত সিনহা, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি গোপাল রায়, জেলা কংগ্রেস সভাপতি রূপময় ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন ,আশীষ কুমার সাহা প্রমুখ। জনসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে 730 জন ভোটার কংগ্রেস দলে যোগদান করেন । সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন।
এদিকে 100 মিটারের মধ্যে দুইটি রাজনৈতিক দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে যেন কোন অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেই দিকে লক্ষ রেখে সকাল থেকে জেলা পুলিশ প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি দেখে চলছিল। ধর্মনগর শহরে বিশাল পুলিশ, টিএসআর এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গোটা নিরাপত্তার বিষয়টি দক্ষ হাতে নেতৃত্ব দেন উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ডক্টর কিরণ কুমার কে। মূলত পুলিশি নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো থাকার ফলেই এদিন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।