বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে বাম পরিসদীয় নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ। এমনকি নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব জিতেন্দ্র চৌধুরী। বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তিনি সোচ্চার হলেন।
রাজ্যের ত্রয়োদশ বিধানসভার তিনদিনের প্রথম অধিবেশন সম্পন্ন হলো। মঙ্গলবার শেষ দিনে একাধিক ইস্যুতে বিধানসভার অভ্যন্তরে ট্রেজারি বেঞ্চ ও বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে দফায় দফায় বাকবিতন্ডায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। হৈ হট্টগোলের কারণে একবার অধ্যক্ষকে অধিবেশন ক্ষনিকের জন্য মুলতবিও করতে হয়। এর ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বর্তমান সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেন বাম পরিষদীয় নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী বিধায়কদের কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুললেন।শুধু তাই নয়, নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেও সরব হলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তুলে ধরলেন বিভিন্ন পরিসংখ্যান।
একই সাথে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পরিসংখ্যানও সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বাম পরিষদীয় নেতা।
শুধু তাই নয়, বিধানসভা অধিবেশনে পরিষদীয় মন্ত্রী রতল লাল নাথের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তবে তথ্যভিজ্ঞদের মতে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ঘটনা বহুলাংশে কম। যদিও নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের একটি ঘটনাও কাম্য নয়। এরমধ্যেই মঙ্গলবার ত্রয়োদশ রাজ্য বিধানসভার তিন দিনের প্রথম অধিবেশন সম্পন্ন হল। শেষ দিন অধিবেশনের ফাঁকে বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন বাম পরিষদীয় নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
রাজ্যে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস বিগত বাম আমলের ভূষণ ছিল।আর বিজেপি আইপিএফটি জামানায় তা নেই।বক্তা মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।মঙ্গলবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে বামেদের উত্থাপিত নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস নিয়ে এই ভাবেই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেইসাথে তিনি বলেন,এডিসির সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে।