তেলিয়ামুড়া ব্লকের মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩নং ওয়ার্ডে প্রায় তিন লাখ টাকায় ১০৫ মিঃ ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যার ওয়ার্ক অর্ডার বের হয় এই পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব সনজিৎ দেববর্মার নামে কিন্তু, ওই পঞ্চায়েতের ২নং ওয়ার্ডের গুণধর মেম্বার তথা শাসক দল বিজেপির চুনোপুঁটি নেতা সুজিত দাস নিজের ক্ষমতা বলে পঞ্চায়েত সচিব সঞ্জীত দেববর্মার বদলে নিজে কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে অবাক হলেও সত্যি সেই ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত আড়াই থেকে তিন হাজার ইট রাতের অন্ধকারে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই গুণধর শাসকদলীয় চুনোপুঁটি নেতা তথা ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুজিত দাস এমনটাই অভিযোগ এই এলাকার বাসিন্দা তথা প্রবীণ ব্যাক্তি গৌরাঙ্গ দাস অভিযোগ করে বলেন,তিনি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুজিত দাস ড্রেন নির্মাণের জন্য ব্যাবহৃত ইট গুলো তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনা শুক্রবার সকালে চাওর হতেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে সুজিত দাসের বাড়িতে যায় এবং তার বাড়ির পেছনে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার খুঁজে পায়।
এ প্রসঙ্গে চুনোপুঁটি নেতা সুজিত দাসকে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায় সে ইটভাট্টা থেকে এগুলো কিনে এনেছে। কিন্তু কোন ইটভাট্টা থেকে ইটগুলো কিনে এনেছে সে সম্পর্কে সে সঠিক তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে দিতে পারেনি।সেই সঙ্গে ড্রেনের নির্মাণ কাজে যুক্ত রাজমিস্ত্রিদের হাজিরার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে এই গুণধর মেম্বারের বিরুদ্ধে। রাজমিস্ত্রিদের ৩২০ টাকা হাজিরার পরিবর্তে ২৫০ টাকা করে হাজিরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীরা ঘটনাটি ফোন যুগে তেলিয়ামুড়া ব্লকের বিডিও শান্তনু বিকাশ দাস এবং মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব সঞ্জিত দেববর্মার গোচরে বিষয়টি নেওয়া হয়েছে।
ফোন পেয়ে পঞ্চায়েত সচিব ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে। এবং তিনি দেখতে পায় উনার নির্মাণ কাজের জায়গা থেকে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুজিত দাস তার নিজের বাড়িতে ইট গুলো নিয়ে এসেছে।পরে জানিয়েছেন এই বিষয়ে তিনি মামলা করবেন।এই ঘটনায় সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই যদি অবস্থা হয় একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির তাহলে প্রকৃতপক্ষে উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব ? তাই এলাকাবাসীদের তরফ থেকে দাবি উঠেছে অভিযুক্ত মেম্বার সুজিত দাসের বিরুদ্ধে আইনত ব্যাবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।এখন দেখার সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয় ।