রাজ্যের একমাত্র সরকারি রেফারেল হসপিটাল হচ্ছে জিবি হাসপাতাল। ফলে এই হাসপাতলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন প্রতিনিয়তই রাতদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ স্বাস্থ্যপরিসেবা নিতে এই হাসপাতলে আসে। স্বাভাবিকভাবেই এই হাসপাতালে রোগী পরিষেবার চাপ সামলাতে হচ্ছে জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ।এই অবস্থায় রাজ্যের দূর-দূরান্ত থেকে রোগাক্রান্ত দের সাথে আশা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সুবিধার্থে ,বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের মানুষের সুবিধার্থে আগরতলা স্মার্ট সিটি প্রকল্পে জিবি হাসপাতাল চত্বরে দুটি ওয়াটার এটিএম চালু করা হয় কয়েক বছর আগে ।
তাতে রোগীর আত্মীয় পরিজন পানীয় জল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেয়েছিলেন । এবং রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে ছিলেন ।কিন্তু যন্ত্র চালু করলেই তো হবে না তার মেরামতের জন্যও সময় মত লোক প্রয়োজন। নিশ্চয়ই এই ওয়াটার এটিএম দুটি দেখভালের জন্য অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক রয়েছেন । কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্যি সঠিক দেখভালের অভাবে সংশ্লিষ্ট ওয়াটার এটিএম দুটির বর্তমানে দৈন্য দশা।
এই নিয়ে জিবি হাসপাতাল স্বাস্থ্যপরিসেবা নিতে আসা জনৈক ব্যক্তি রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।এটা ঠিক এবং আশ্চর্যের বিষয় রাজ্যের একমাত্র সরকারি রেফারাল জিবি হাসপাতাল চত্বরে দুই দুইটি ওয়াটার এটিএম শুধুমাত্র সারাই এর অভাবে ধুঁকছে এবং এর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এই নিয়ে সাধারণ মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ।এখন বলুন জিবি হাসপাতাল চত্বরে ওয়াটার এটিএম এর যদি এই দশা হয়, তাহলে আর কি বলার আছে ।এটা তো সত্যি সংশ্লিষ্ট ওয়াটার এটিএম দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন, এমনটা তো হতে পারে না ।
আর যদি অবহিত হয়ে থাকেন তাহলে কেন মাসের পর মাস ওয়াটার এটিএম দুটির দৈন্য দশা ।যার কারণে জিবি হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসা রোগীসহ রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। কারা এর জন্য দায়ী ।এই সব বিষয়গুলি সাধারণ মানুষের অবশ্যই নজরে রয়েছে ।সাধারণ মানুষ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন এবং আশা রাখছেন খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট ওয়াটার এটিএম দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা শীতঘুম কাটিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ও সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার যে সরকারি নির্দেশ রয়েছে তা অবশ্যই পালন করবেন।