বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে।সেচের ব্যবস্থা নেই।ফলে মাঠে নেই ফসল।তাছাড়া নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।কিন্তু কোন হেলদোল নেই সরকারের।বক্তা বাম কৃষক নেতা পবিত্র কর।
দেশের যে কয়েকটি জাতীয় দল ও রাজ্যদলের মর্যাদা যুক্ত দল রয়েছে সেই সমস্ত দলগুলির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন রয়েছে।আর এই সমস্ত অঙ্গ সংগঠন গুলির মধ্যে একটি হচ্ছে কৃষক সংগঠন।সিপিএম এর কৃষক সংগঠন হচ্ছে সারা ভারত কৃষক সভা।সংশ্লিষ্ট সংগঠন এর নেতাদের দাবি এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল 1934 সালে।এবং তদানীন্তন ইংরেজ আমলের শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।এর দেশ স্বাধীন হবার পর আজও কৃষক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে লড়াই আন্দোলন জারি রেখেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর মেলার মাঠে খাড়া ভারত কৃষক সভার অষ্টআশি তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয় ।উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কাউন্সিলের সম্পাদক পবিত্র কর, বাম কৃষক নেতা রতন দাস সহ অন্যান্যরা।এদিন এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে অর্পণ করেন বাম কৃষক নেতাকর্মীরা।
এদিন বাম কৃষক নেতা পবিত্র কর বলেন,সারা দেশে কৃষকদের দুরূহ অবস্থা।কৃষকদের বছর ব্যাপী আন্দোলনের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় মোদি সরকার।প্রত্যাহার করা হয় তিনটি কৃষি আইন।একই সাথে তিনি বলেন,বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষকদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে।সেচের ব্যবস্থা নেই।ফলে মাঠে নেই ফসল।
এই বাম কৃষক নেতার অভিযোগ রাজ্যে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।কিন্তু কোন হেলদোল নেই সরকারের।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যে রাজ্যে বামেরা ক্ষমতায় আসার পেছেন বামেদের যে কয়েকটি অসাধারণ ভূমিকা
নিয়েছিল সে গুলির মধ্যে বাম কৃষক সংগঠনটির বিশেষ ভূমিকা ছিল।কিন্তু ক্রমেই এই সংগঠনটি ভেতর থেকে বিভিন্ন কারনে দুর্বল হয়ে যায়।অবশেষে এর চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে 2018 সালে।রাজ্যে ক্ষমতা হারায় বামেরা।এরপর এখনও এই সংগঠনটি আগের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারে নি।তার প্রমান সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনী ফলাফল।