বন্য দাতালের রাতভর তান্ডব।হানা একাধিক বাড়িঘরে।নিয়ে চম্পট ধান বস্তা ভর্তি ধান সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী।পালিয়ে বাঁচলো স্থানীয় বাসিন্দারা।ঘটনা শুক্রবার গভীর রাতে কল্যাণপুরের দক্ষিণ ঘিলাতলী পঞ্চায়েতের বাগবের গ্রাম এলাকায়।এই ঘটনা নিয়ন্ত্রনে বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে বেজায় রুষ্ট সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।
রাজ্যের একাংশ এলাকায় রয়েছে বন্য দাতালের ভয়ানক উৎপাত।এদের তান্ডবে অস্থির সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।শুক্রবার গভীর রাতে কল্যাণপুর বনদপ্তরের অধীন দক্ষিণ ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগবের গ্রামে হানা দেয় বন্য দাঁতালের দল। এবং ঘরের দরজা জানালা ভেঙে ঘর থেকে নিয়ে যায় বস্তা ভর্তি ধান সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী। প্রাণভয়ে হর কুমার দাস, বিলাসী দাস, পরেশ দাস এবং নিরঞ্জন দাসের বাড়ির মানুষজন ঘর ছেড়ে পালিয়ে কোনক্রমে প্রাণ রক্ষা করে।
এই ঘটনার সাথে সাথেই আক্রান্ত পরিবার গুলির তরফে বনদপ্তরে নিয়োজিত বাহিনীকে অবহিত করা হয়। অভিযোগ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। আর এরই ফাঁকে বন্য হাতির দল হানাদারি চালিয়ে চম্পট দেয়।এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীরা।
উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া বনবিভাগের অন্তর্গত কল্যাণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিশেষ করে বাগবের, উত্তর মহারানীপুর, চনখলা ইত্যাদি এলাকায় প্রায়ই বন্য হাতির তাণ্ডব চলে। ইতিপূর্বে একাধিকবার হাতির আক্রমণে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে এ ব্যাপারে বনদপ্তরের সাথে কথা বললে দপ্তর কর্তাদের অভিমত, হাতি নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবক তথা এডিএস টিম কাজ করছে।কিন্তু তার পরেও হাতির সমস্যা মূলত বন ধ্বংসের কারণেই ঘটছে বলে বনকর্তারা নিজেদের দায় এড়াতে চান।