জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলো ফরওয়ার্ড ক্লাব। সোমবার উমাকান্ত মাঠে এ ডিভিশন ফুটবলে সুভাষ বোশের ছেলেরা ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিলো বীরেন্দ্র ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল করেন প্রীতম হোসেন। ম্যাচটা সবে মাত্র শুরু হলো। এমনিতেই কেঁপে উঠলো বীরেন্দ্রর জাল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ফরওয়ার্ডের পক্ষে প্রীতম হুসেন জাল নাড়িয়ে দিলো। ঝটকা। গোলটা খুব দ্রুত পেয়ে যাবার ফলে সেই ঝাঁজালো ফরওয়ার্ডকে কিছুটা সময় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ম্যাচে। এই সুযোগটা দারুন ভাবে কাজে লাগালো বীরেন্দ্র শিবির। বল পাসিং থেকে হোল্ডিং সবেতেই ফরোয়ার্ডকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানায় সুজিত ঘোষের ছেলেরা।
তবে দুর্ভাগ্য দলটির। স্ট্রাইকারের অভাবে সাজানো আক্রমণ গুলো ভোঁতা হয়ে যাচ্ছিলো। কিছুটা সময় পর আবার ও স্বমহিমায় ফরওয়ার্ড দল। তবে গোল করার চান্স তারাও তৈরি করতে পারছিল না দ্বিতীয়বারের মতো। এর জন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে বীরেন্দ্রর রক্ষণ ভাগকে। একদমই স্টেডি ভাবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে দুই বিদেশির বিরুদ্ধে বীরেন্দ্রর রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে দর্শকদের আদতে যদি কিছু প্রাপ্তি হয়, তা হলো একটি গোলই।ভালো ভালো কেটে গেল প্রথম হাফ। বিরতির পর ফের শুরু হলো ম্যাচ। এবার আবার ৪ মিনিটে ফের প্রীতম জাল নাড়িয়ে দেয় বীরেন্দ্রর। লিড বেড়ে হয়ে গেল ২-০ গোলে। পাল্টা গোলদুটো পরিশোধ করার জন্য বীরেন্দ্র শিবির কিছুটা টাফ ফুটবল খেলতে থাকে।
এটা ফুটবল মাঠে প্রযোজ্য। তবে রেফারি আদিত্য দেব বর্মার যে হটাৎ কি হলো, একের পর এক উল্টো পাল্টা সিধান্ত নিতে থাকেন তিনি। নিশ্চিত ফাউল ওভারলুক করে যান তিনি, অযথা ফাউল দিতে থাকেন। কার্ড টুক টাক বের করতে থাকেন তিনি। একে তো দুই গোলে পিছিয়ে বীরেন্দ্র শিবির, তার মধ্যে রেফারির এহেন কীর্তিতে মাথা গরম করে খেলতে থাকে বীরেন্দ্রর ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধের তখন ২৭ মিনিট। বক্সে বীরেন্দ্রর এক ফুটবলারকে রেকলেস ফাউল করে ফরওয়ার্ডের এক ফুটবলার। আজব কান্ড। রেফারি পেনাল্টি দিলেনই না। গোটা মাঠ দেখলো বিষয়টা। অথচ রেফারি আদিত্য তা দেখেন নি। চলতে থাকে মাঠের বাইরে থেকে অস্রাব্য গালাগাল। ভেতরে চলতে থাকে ম্যাচ। অবশিষ্ট সময়টাতে বীরেন্দ্র শিবির আপ্রাণ চেষ্টা করে গোলগুলো পরিশোধ করার জন্য।তবে ভাগ্য যে মন্দ তাদের। সুবাদে জয় হাসিল করেই এদিন ও মাঠ ছাড়লো ফরওয়ার্ড ক্লাব