প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছেই একটা অন্যতম বড় হার্ডল হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। শিক্ষা জীবন শুরু প্রায় একযুগ বাদে এর সম্মুখীন হন ছাত্রছাত্রীরা। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা কিছুটা টেনসনে আক্রান্ত হয়ে থাকেই। বৃহস্পতিবার ছিল ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন ইংরেজি পরীক্ষা। এদিন রাজ্যের 1025 স্কুলে একযোগে পরীক্ষা শুরু হলেও বিপত্তি বাধে বিলোনিয়া মহাকুমার রাজনগর ব্লকের চোত্তাখলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর পরীক্ষা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে চক্ষু চড়ক গাছে উঠে। কারণ ইংরেজি প্রশ্নের স্থানে তাদের হাতে মেলে অন্য বিষয়ের প্রশ্নপত্র। বিষয়টি জানাজানি হতেই পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায় ।এই অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফোনে কথা বলেন পাশের একটি পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রের শিক্ষকদের সাথে।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি ইংরেজি প্রশ্ন চেয়ে নেন তিনি। পরে সেই প্রশ্ন জেরক্স করে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন তিনি। ফলে 12 টার পরিবর্তে বেলা সাড়ে বারোটায় এই কেন্দ্র পরীক্ষা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি ইংরেজি প্রশ্ন পত্র লেখার খাম বিদ্যালয়ে আনেন ।কিন্তু খুলে দেখেন খামের ভেতর দুই ধরনের প্রশ্নপত্র ।একটি অড নাম্বারের এবং অপরটি ইভেন নাম্বারের।ইভেন নাম্বার এর প্রশ্নপত্র ঠিক থাকলেও অড নাম্বারে ইংরেজির বদলে অন্য একটি বিষয়ের প্রশ্ন ছিল। তিনি তৎক্ষণাৎ পাশের একটি পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রের শিক্ষকের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রশ্ন পত্র চেয়ে তার জেরক্স করে ছাত্রছাত্রীদের বিলিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এতে অবশ্য আধ ঘণ্টার মতো সময় লাগে ।ছাত্র-ছাত্রীদের এই সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এবং পরীক্ষা গ্রহণে বিন্দুমাত্র বাধা ঘটেনি।
কি কারনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিভ্রান্তির মতো ঘটনা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চোত্তাখলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃপক্ষের একাংশের খামখেয়ালিপনার কারণেই এমনটা হয়েছে। তিনি জানান সবাই ঠিকমতো মনোযোগ সহকারে কাজ করেন না ।এতে বিপত্তি দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। এদিকে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের ঘটনা জানাজানি হতেই অভিভাবক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য ছড়ায়।