পুত্র ও পুত্রবধুর হাতে নিগৃহীত বৃদ্ধা। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন জাঙ্গালিয়া রবীন্দ্রনাথ কলোনী এলাকায়। বর্তমানে তিনি বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানায় অভিযোগ।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে চারটি কাল প্রত্যক্ষ করা যায়। শিশু, যৌবন, প্রৌর এবং বৃদ্ধ। কেউ হঠাৎ করে বৃদ্ধ হয়না। এখন যারা যৌবন তাদের এই যৌবন কে নিয়ে বড়াই করা উচিৎ নয়। কারণ বয়স বসে থাকবে না। বৃদ্ধ হলে মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। যদি না সে যৌবনে সেই ভবিষ্যতের কথা না ভাবেন। নিজের যৌবন নিয়ে অন্য কোন বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে অবহেলা ক
রা মোটেও উচিৎ হবে না। সেই বৃদ্ধ হতে পারেন নিজের মা বাবা, হতে পারেন কোন নিকটাত্মীয়, হতে পারেন প্রতিবেশী। বৃদ্ধ বয়সে মা বাবাকে দেখবাল করবেন এই আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়েই ছেলে মেয়েকে লালান পালন করেন মা বাবা। ঠিক তেমনি ভাবেই নিজের পুত্র কে লালন পালন করছিলেন জাঙ্গালিয়া রবীন্দ্রনাথ কলোনীর বাসিন্দা গীতা রানী দাস। যে পুত্রকে লালন পালন করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন সেই পুত্রের হাতে বৃদ্ধ বয়সে নিগৃহীত হতে হয়েছে বৃদ্ধাকে। পুত্র ও পুত্রবধুর হাতে নিগৃহীত হয়ে বর্তমানে বিশালগড় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বিশালগড় থানাধীন জাঙ্গালিয়া রবীন্দ্রনাথ কলোনীর বাসিন্দা গীতা রানী দা
স নিজের ঘরের মেঝেতে সিমেন্টের প্রলেপ দিতে পুত্রের ঘর থেকে একটু সিমেন্ট এনেছিলেন। এনিয়ে পুত্র বধূর সঙ্গে শুরু হয় বৃদ্ধার বিবাদ। এরই জেরে পুত্রবধূ এসে বৃদ্ধাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাতে মহিলার হাতে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। ক্ষনিক বাদেই বাড়িতে আসে বৃদ্ধার পুত্র সঞ্জয় দাস। সে এসেও স্ত্রীর কু পরামর্শ পেয়ে তার মা গীতা রানী দাস কে নিগৃহীত করে বলে অভিযোগ। এর পর আশেপাশের মানুষ এসে মহিলাকে বিশাল গড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বৃদ্ধা হাসপাতালে বলেছেন পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে রবীন্দ্রনাথ কলোনী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।