পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন।নিজ নিজ রণকৌশলে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি।উদ্দেশ্য গন দেবতাদের মন জয়ের মাধ্যমে বিধানসভার মসনদ দখল।
ইতিমধ্যে রাজ্য সফর করে গেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যক প্রতিনিধি দল। হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের নির্বাচন কমিশন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে যাচ্ছে।আর এই নির্বাচন কে সামনে রেখে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি হাটঘাট বেঁধে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে।একদিকে সরকারে আসীন দল তাদের রাজক্তকালে কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ করেছে,কতখানি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরছে।অপরদিকে বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন অভিযোগ সহ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি খেলাপের অভিযোগ রাজ্যবাসীর সামনে উত্থাপন করছে।শাসক দল হোক বা বিরোধী দল হোক কিভাবে তাদের সাফল্য বা অভিযোগ এর ডালি গন দেবতাদের সামনে তুলে ধরবে তা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি তাদের সৈন্যবাহিনীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।উদ্দেশ্য নিজ নিজ রণ কৌশল অনুসারে প্রচার প্রসার।শুক্রবার রাজধানীর মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে বিজেপি রাজ্য কমিটির উদ্যোগে বক্তা প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রদেশ বিজেপি রাজ্য প্রভারী মহেশ শর্মা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্যরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই সাংগঠনিক শিবিরের সূচনা করেন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,2018 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি
আইপিএফটি জোট 44 আসন দখল করে ছিল ।এর মধ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল 36 টি। অপরদিকেবিজেপির জোট শরিক আইপিএফটি পায় আটটি আসন।তার মধ্যে পাহাড়ে বিজেপি আইপিএফটি জোট পেয়েছিল 18 টি আসন।আর সমতলে এই জোট পায় 26 টি আসন।তবে এই নির্বাচনে তদানীন্তন রাজ্য ক্ষমতায় থাকা বামেরা পায় মাত্র 16 টি আসন।এরমধ্যে পাহাড়ে বামেদের ঝুলিতে যায় 2 টি আসন।অপরদিকে সমতল এলাকায় পায় 14 টি আসন।