নজীর গড়লেন পঞ্চমী দেবনাথ। নজীর গড়েও দলকে খুব একটা ভালো জায়গায় রাখতে পারলেন না উত্তর জেলার এই ফুটবলারটি। এদিন যেভাবে সুযোগ নষ্টের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর ফুটবলাররা, তা যদি না হতো তাহলে একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো না কোচ সুশান্ত সাহা-কে। আপাতত ৩ গোলে এগিয়ে মহাত্মা গান্ধী। আপাতত লিগ টেবিলের শীর্ষে মহাত্মা গান্ধী। বুধবার যদি কিল্লা মর্ণিং ক্লাবের বিরুদ্ধে কম করে ৪ গোলে জয় পেতে পারে জম্পুইজলা তাহলে খেতাব জয় করে নেবে সুবোধ দেববর্মার এলাকার দল।
ফলে এদিন গোল সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিৎ ছিলো দিপালী হালামদের। রাজ্য ফুটবল সংস্থা আয়োজিত মহিলা ফুটবল লিগে এদিন উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মহাত্মা গান্ধী প্লে সেন্টার ১০-০ গোলে বিদ্ধস্ত করে দেয় দুর্বল চলমান সঙ্ঘকে। ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিক সহ ৮ গোল করেন সুশান্ত সাহা-র তুরুপের তাস পঞ্চমী। এদিন যদি কমকরে এক ডজন গোলে জয় পেতো মহাত্মা গান্ধী তাহলে অবাক হওয়ার কিছু ছিলো না। শেষ দিকে মনে হয়েছিলো সুযোগ নষ্টের প্রতিযোগিতা চলছে মহাত্মা গান্ধীর ফুটবলারদের মধ্যে। ওই সুযোগ গুলো যদি নষ্ট না হতো তাহলে হয়তোবা প্রথমবার খেতাব জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়ে যেতো।
এদিন বিজয়ী দল প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিলো। ম্যাচের ১০,২৩,৩৫,৪৪,৪৬,৫৮,৬১ এবং ৬৭ মিনিটে পর পর ৮টি গোল করেন পঞ্চমী। এর আগে রাজ্যের কোনও মহিলা ফুটবলার এক ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিক সহ ৮ গোল করেছেন কীনা জানা নেই রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তাদেরও। ম্যাচে বিজয়ী দলের পক্ষে এছাড়া দুটি গোল করেন হেনা দেববর্মা (৪ মিনিট) এবং কাজল্তি রিয়াং (৭০ মিনিট)। খেলা পরিচালনা করেন পিন্টু চাকমা।