নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা। পালিয়ে বাঁচলো ওই শিশু। পাষন্ড ষাটোর্দ্ধ দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের। অভিযুক্ত পলাতক। নিপীড়িতা নাবালিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন।
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো। এতেই সামাজিক অবক্ষয়ের নগ্ন রূপ প্রকাশ্যে। ঘটনা গত ১৩ মার্চ
কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের আমতলী থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্দ্ধ দুলাল মিয়া এলাকারই এক চোদ্দ বছর বয়সি নাবালিকাকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। যদিও নাবালিকাটি অপর এক ব্যক্তির সহায়তায় পালিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে এবং সমস্ত ঘটনা তার মাকে জানায়। পরবর্তীতে ১৪ মার্চ দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করা হয় আমতলী থানায়। এ খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতে নড়েচড়ে বসলো ত্রিপুরা শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশনের সদস্যা শর্মিলা চৌধুরী ওই নিপীড়িতা নাবালিকার বাড়িতে যান এবং তদন্তক্রমে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। ঘটনাটিকে ন্যাক্কারজনক বলে অভিহিত করলেন ত্রিপুরা শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের সদস্যা।
খবরে প্রকাশ অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বর্তমানে পলাতক। ত্রিপুরা শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের সদস্যা এদিন আমতলী থানাতেও যান এবং মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। কার্যত এই নেককারজনক ঘটনার পর নিপীড়িতা নাবালিকাটি সহ তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্ক ও অবসাদগ্রস্ত। তবে এই পরিবারের পাশে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন ত্রিপুরা মহিলা শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন কর্তৃপক্ষ। এতে নিপীড়িতা নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের বর্তমানে আংশিক স্বস্তি লাভ।