নজর ২০২৩ ।দোয়ারে কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন।সাংগঠনিক সফরে রাজ্যে এলেন
বিজেপি ওবিসি মোর্চার রাষ্ট্রীয় সভাপতি ।বুধবার তিনি
রাজ্যবাসীর মংগলার্থে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেন।
রাজ্যের জলসেচ ব্যবস্থার জন্য পূর্ত দপ্তর পাঁচটি প্রকল্পের জন্য ৬০৪ কোটি টাকা অনুমোদনের জন্য চেয়ে পাঠায়।পরে প্রচার করা হয় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একথা বললেন বাম কৃষক নেতা পবিত্র কর। সেই সাথে তিনি অভিযোগ করেন অনুরূপভাবে গ্রামীণ জল প্রকল্পেও শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
রাজনৈতিক বিশ্লেসকদের অভিমত চলতি মাসেই ঘোষণা হতে পারে ত্রয়োদশ বিধানসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ।এই
নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি ময়দানে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে।সরকার পক্ষ যেমন উন্নয়নের বিভিন্ন তথ্য প্রচার প্রসারে নজর দিয়েছে,ঠিক তেমনি বসে নেই বিরোধী দল গুলিও।সরকারীভাবে প্রচারিত একাংশ তথ্য মিথ্যাচারের সামিল বলে তাদের অভিযোগ ।বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কাউন্সিলের সম্পাদক পবিত্র কর,বাম কৃষক নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ মতিলাল সরকার রতন দাস।এদিন পবিত্র কর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন,
রাজ্যের জলসেচ ব্যবস্থার জন্য তথ্য দপ্তর পাঁচটি প্রকল্পে ৪০৪ কোটি টাকা অনুমোদনের জন্য চেয়ে পাঠায়। পরে প্রচার করা হয় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি।
এই বাম নেতার অভিযোগ গ্রামীণ জল প্রকল্পে সব বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্তমান সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাদের সেই প্রতিশ্রুতি কথার কথাই রয়ে গেছে।
সেই সাথে তিনি অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকায় স্টেট লেভেল স্কিম অনুমোদিত কমিটি ঠিক করেছিল ১১৫৯০ টি ওয়াটার সাপ্লাই স্কীমের অন্তর্ভুক্ত ৭ লক্ষ ৩০ হাজার পরিবারকে জলের লাইন প্রদান করা হবে ।যার জন্য খরচ পড়বে ২৭৫৬ দশমিক ২৫ কোটি টাকা ।প্রতি পরিবার পিছু ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার টাকা ।তিনি প্রশ্ন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার পরিবারের লক্ষ্যমাত্রা কোথায় গেল এবং পরিবার পিছু অর্থ খরচের বহর ও বাড়িতে জল সংযোগের লাইন যা মাত্র এক মিটারের মধ্যে সেখানে ৩৭ হাজার টাকাই বা কিভাবে খরচ হলো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে জল জীবন মিশন এর মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় 52 শতাংশের উপর বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেয়া হয়েছে ।সেই সাথে এও জানানো হয়েছে বিগত সরকারের আমলে যা ছিল ৩ শতাংশেরও কম।