অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমন ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। স্বভাবতই খুব খুশি ধান চাষীরা। কমলপুর মহকুমার মলয়া, পঞ্চাশী, হালহালি, লাটিয়াবিল, মেথির মিয়া অঞ্চল গুলিতে। এবার আমন মরশুমের গৌমতী ধান লাগিয়েছে ধান চাষীরা। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে কৃষকরা তাদের জমির পাকা ধান কাটতে শুরু করেছে।সিংহভাগ কৃষকদের জমিতে আমন ধান কানি প্রতি কুড়ি থেকে বাইশ মন ধান হয়েছে। যা গত তিন বছরে রেকর্ড। কেননা,অন্যান্য বছর মরশুমের বৃষ্টির অভাব ছিল।আর গত তিন বছরের তুলনায় এবার আমন ধানের চারা রোপণের সময় মৌসুমের বৃষ্টিপাত কৃষকদের অনুকূলে ছিল।
তাছাড়া, কৃষকরা জমিতে সময় মতো সার প্রয়োগ করতে পেরেছে। এবার আমন ধান ভাল ফলনের জন্য লাভবান হবে কৃষকরা। এমন আশা ব্যক্ত করেন কমলপুর মহকুমার মেথির মিয়া হাওড়ের ধানের জমির মালিক তথা কৃষক সমীর দাস।উনার মেথির মিয়া হাওড়ের পাঁচ কানি ধানের জমি রয়েছে। এই জমির উপর নির্ভর করে চলছে সংসার। কানি প্রতি আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটছেন। কৃষক সমীর দাস গত তিন বছর ধরে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছেন।সব কিছু মিলে এবার আমন ধান চাষে লাভের মুখ দেখছেন গ্রামের কৃষকরা । স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ার বইছে কৃষক মহ্ল্লায়।