দিন দুপুরে স্কুলের টয়লেটে বোমা বিস্ফোণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় কলসিমুড়ায়। বোমা ফেটে ক্ষতবিক্ষত পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্র। তার বা হাতে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। বর্তমানে সে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল থেকে আরও চারটি তাজা বোম উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার দিন দুপুরে কলমচৌড়া থানাধীন নগর হাই স্কুলের টয়লেটে আচমকা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দ শোনে স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং আশেপাশের লোকজন হতবাক। মুহূর্তের মধ্যেই এক কিশোর চিৎকার করতে থাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। সঙ্গে সঙ্গেই স্কুলের শিক্ষকরা এবং আশেপাশের লোকজন সেখানে ছুটে আসে। কিশোরটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে আহত কিশোর জানায় তার নাম ইসলাম মিয়া। সে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। পরিত্যক্ত টয়লেটের একটি ব্যাগের ভেতরে এই বোমা ছিল। সে বুঝতে পারেনি ব্যাগে বোমা রয়েছে। তবে ব্যাগের ভেতরে আর ও কয়েকটি বোমা রয়েছে। বোমা ফেতে তার বা হাত ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
ঘটনা সম্পর্কে নগর হাই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, তারা স্কুলের কাজ করছিলেন। সেই সময় একটি বিকট শব্দ শোনতে পান। এর পরেই একটি কাঁদতে কাঁদতে বলে বেরিয়ে আসে। তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে আসেন তিনি।
এই ঘটনা সম্পর্কে কলসিমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই এই বোমার কথা তারা জানেন। বিরোধী দলের দুস্কৃতিকারিরা এই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে বোমা এনেছিল। কিন্তু কোথায় এই বোমা রাখা হয়েছে তা কেউ বলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত একটি বোমা বিস্ফোরণের পরেই বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। এলাকার পাঁচ বাড়িতে এই বোমা বিস্ফোরণের জন্য আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামের উপপ্রধান।
এদিকে আহত ইসলাম মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জিবি হাসপাতালে রেফার করেন। তবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাকে ঘিরে কলসিমুড়া এলাকার নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে
গভীর রাতে বোমার শব্দে কেপে উঠলো বিশালগড়ের জাঙ্গালিয়া এলাকা। অভিযোগ, জাঙ্গালিয়া এলাকার বিজয় পালের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে দূর্বৃত্তরা। বাইকে করে এসে বোমা ফেলে যায় বলে অভিযোগ। বিশালগড় থানার পুলিশ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। সিসিটিভির ফুটেজ সহ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বিজয় পাল। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।