ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনে চলছে টাকার খেলা।ভাল পারফরম্যান্স করেও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সুযোগ নেই যোগ্য খেলোয়াড়দের।এখনও পারিশ্রমিক পায়নি ত্রিপুরা মহিলা প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা।তাছাড়া এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট বসানো নিয়ে তো কোটি কোটি টাকার ঘোটলা।বুধবার ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন লোধের কাছে টিসিএ’র আর্থিক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ক তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়ে এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন এবং বঞ্চিত ক্রিকেটারদের এক প্রতিনিধি দল।
অবশেষে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের থলে থেকে বেড়াল বেরিয়েই পড়ল।আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে এল তিলে তিলে চরম নিস্পেসনের শিকার রাজ্যের প্রাক্তন এবং বঞ্চিত ক্রিকেটারদের এক প্রতিনিধি দল।বুধবার রাজ্য ক্রিকেটের সদর কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট 10 জন ক্রিকেটারদের এক প্রতিনিধি দল টিসিএ’র সভাপতি তপন লোধের সাথে ডেপুটেশনে মিলিত হন।এবং টিসিএ’র আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ক তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এর দাবি জানান।তাদের অভিযোগ,
ভাল পারফরম্যান্স করেও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সুযোগ নেই যোগ্য খেলোয়াড়দের।শুধু মাত্র গুটি কয়েক ক্লাবের চলছে তাবেদারী।এখনও পারিশ্রমিক পায়নি ত্রিপুরা মহিলা প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা। ত্রিপুরা প্রিমিয়ার মহিলা লিগে ছয়টি টিমে ইনভেস্টর কারা ছিলেন ।ত্রিপুরা ক্রিকেটে এসোসিয়েশন কিভাবে ওই সকল ইনভেস্টর বা মালিক কিংবা জেনারেল বডি বহির্ভূত ব্যক্তিদের ছয়টি ক্রিকেট টিমের কর্তৃপক্ষের সাথে যুক্ত করল। এই বিষয়ে রাজ্য ক্রিকেটের সাথে তদন্তের দাবী জানান।
তাছাড়া এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট বসানো নিয়ে তো কোটি কোটি টাকার ঘোটলা। তাদের প্রশ্ন এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাইডলাইট বসানোর জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে টেকনিক্যাল অনুমোদনের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ টিম গঠিত হয়েছে কি ?যদি টেকনিক্যাল টিম অনুমোদিত না হয় তাহলে ফিনান্সিয়াল রুলস অনুযায়ী ২৫ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের টেন্ডার আহবানের অনুমোদন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পর্যায়ে কি করে প্রদান করে? অনুরূপভাবে ফিনান্সিয়াল রুলস অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পর্যায়ে ৩০ লক্ষ টাকার উপরে টেন্ডার কি করে গ্রহণ করে ?এসকল আর্থিক বেনিয়ম গুরুতর অপরাধের শামিল। আর এই ধরনের আর্থিক অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে সন্দেহ হওয়াই স্বাভাবিক।
ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি নিকট ডেপুটেশন প্রদানকারী প্রতিনিধি দলের স্পষ্ট বক্তব্য এই সমস্ত ঘটনায় চলছে টাকার খেলা।সেইসাথে তাদের অভিযোগ এই সমস্ত আর্থিক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতিতে
টিসিএ’র একাংশ কর্তব্যবুরা জড়িত।
এদিন প্রতিদিন দলের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা মহিলা প্রিমিয়ার লিগে স্পন্সরদের কাছ থেকে কত টাকা পাওয়া গেছে কত টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে এবং টিসির ফান্ডে কত টাকা এসেছে? তা শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে
টিসিএ’র সভাপতি এর নিকট। তাছাড়া আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ সাপেক্ষে এফ আই আর গ্রহণ ও আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যাসত্য জনসমক্ষে প্রকাশ করারও দাবি জানানো হয় ।একই সাথে ক্রিকেটের রাজ্য দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত হলে ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে এদিনের ডেপুটেশন প্রদানকারী রাজ্যের প্রাক্তন এবং বঞ্চিত ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি দলটি।