তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী করবুক মহকুমার পতিছড়ি এডিসি ভিলেজ এলাকার এক কৃষক। নিজের আড়াই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। মহকুমার কৃষি আধিকারিকরা সহযোগিতা করলে তরমুজ চাষ করে আরও লাভবান হতে পারবেন বলেছেন এই কৃষক।
তরমুজ রসালো ফল। গ্রীষ্মকালে বাজারে তরমুজের বেশ চাহিদা থাকে। তবে দাম নেহাৎ কম নয়। গরমের কামড় থেকে রক্ষ পেতে অনেকেই তরমুজ ক্রয় করেন। তাছাড়া পূজার্চনায় এই তরমুজের বেশ চাহিদা থাকে। তবে রাজ্যের বাজার গুলিতে তরমুজের চাহিদা মেটায় বহিঃ রাজ্যের তরমুজ। আর এই তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী করবুক মহকুমার অন্তর্গত করবুক ব্লকের অধীনে পতিছড়ি এডিসি ভিলেজের তরমুজ চাষি পুনি দেববর্মা। তিনি বলেন এবছর সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে আড়াই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। কৃষি দপ্তর থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পান নি। বিগত সরকারের সময়ে যে মন কৃষি দপ্তর সহযোগিতা করেনি তে ম নি এখনও মহকুমা কৃষি আধিকারিকরা কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি। বীজ, সার ঔষধ সবই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে ক্রয় করতে হয়েছে। গত তিন বছর ধরে তরমুজ চাষ করছেন। বাজারে চাহিদা থাকলেও কোন পাইকার না আসায় বিক্রি তেমন একটা হচ্ছে না।
স্থানীয় তরমুজ চাষি রাজেন্দ্র ত্রিপুরা বলেছেন, তিনি নিজের ব্যক্তিগত ভাবে দেড় কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। কৃষি দপ্তরের কোন ধরণের সহযোগিতা ছাড়াই তিনি দেড় কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন এবার। বাজারে বিক্রি না করে বাড়ির পাশের রাস্তার পাশে বসে এই তরমুজ বিক্রি করছেন। তবে কৃষি দপ্তর থেকে কিছুটা সহযোগিতা করলে তরমুজ চাষ করে নিশ্চিত ভাবেই তিনি এবার অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারতেন।
রাজ্যের মাটিতে তরমুজের ভাল ফলন হয়ে থাকে। বাজারে তরমুজের যেমন চাহিদা আছে তেমনি দামও আছে। তরমুজ চাষ করে লোকসানের শিকার হচ্ছেনা কৃষকরা। কিন্তু কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা এই বিষয়ে কিছুটা সহযোগিতা করলেই তরমুজ চাষ করে রাজ্যের কৃষকরা আরো বেশি লাভের মুখ দেখতে পারেন।