ডট কম-এর যোগেও ভুত আতংক।আর এই ভুত আতংকে গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে গ্রামবাসীরা ।খবর পেয়ে রবিবার ভুতাঙ্কিত ওই উপজাতি ছোট্ট গ্রামে পৌছান গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে বিশাল প্রশাসনিক দল।।এবং ভুতাঙ্কিত সমগ্র এলাকার জঙ্গল কেটে পরিস্কার করে প্রতিটি বৈদ্যতিন খুটিতে আলো বাতি লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বি ডি ও কে নির্দেশ দেন.
গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত রইস্যাবাড়ি ব্লকের অধীন তুইচাকমা এ ডি সি ভিলেজের অন্তর্গত সেনকুমার পাড়া ।ওই পাড়ায় পয়তাল্লিশ পরিবারের বাস ।সকলই চাকমা জনজাতি অংশের লোকজন ।অভিযোগ গত কয়েক মাস যাবত ওই পাড়ায় ভূতের আক্রমণ শুরু হয়েছে ।প্রতি দিন বা রাতে ভুতের দল ওই পাড়ায় আক্রমনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে
গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভূতের আক্রমণে গত কয়েক দিনের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।প্রতি রাতেই ওই পাড়ার যত্রতত্র ভূতের দেখা পায় পাড়াবাসিরা।ফলে তুইচাকমা এ ডি সি ভিলেজের অন্তর্গত সেনকুমার পাড়ার বাসিন্দারা বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পালাতে শুরু করেছে।এখন পর্যন্ত পাঁচ পরিবার ওই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানান গ্রামবাসীরা
আরো বহু গ্রামবাসীরা ভূতের আতংকে গ্রাম ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংবাদ।এই ভুতাতঙ্কের খবর পাওয়া মাত্র গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি প্রশাসনিক দল আজ সেনকুমার পাড়ায় পৌছান এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা জানতে চান ।বিস্তারিত জানার পর মহকুমা শাসক অরিন্দম দাস গ্রামবাসীদের অভয় দেন ।ওই ভুতাঙ্কিত সমগ্র এলাকায় জঙ্গল কেটে পরিস্কার করে প্রতিটি বৈদ্যতিন খুটিতে আলো বাতি লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বি ডি ও কে নির্দেশ দেন ।
রবিবার ভুতাঙ্কিত সেনকুমার পাড়ায় পরিদর্শনে মহকুমা শাসক অরিন্দম দাসের সঙ্গে ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত ডুম্বুরনগর ব্লকের বি ডি ও রইস্যাবাড়ি ব্লকের বি ডি ও এবং গন্ডাছড়া মহকুমা আরক্ষা দপ্তরের ওসি ইন্সপেক্টর কিশোর লাল উচুই ।সব মিলিয়ে ভূতের আতংকে ভূগছে এবং গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত সেনকুমার পাড়ার বাসিন্দারা ।এখন দেখার গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে প্রশাসনিক দলের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পরিদর্শনের এই গ্রামের পুর্বাবস্থা ফিরে আসে কিনা ।