একাংশ সরকারি অফিসে লাটে উঠেছে কর্ম সংস্কৃতি।যার ফলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।আবার প্রতিবাদ করলে ফুঁস করে উঠার চেষ্টা করে সেই সমস্ত কামচোর সরকারি বাবুরা।এমনই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ল রাজধানীর রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন জল বোর্ড অফিসে।
জীবন মুখী গানের বিশিষ্ট লেখক সুরকার ও গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী।এই বিখ্যাত গায়কের একখানা গান রয়েছে।গানের প্রথম কয়েকটি পংক্তি হল
12 টায় অফিস আসি, দুটোই টিফিন ।তিনটেয় যদি দেখি সিগন্যাল গ্রিন। চটিটা গলিয়ে পায় নিরবে নির্দ্বিধায় চেয়ারটা কোনমতে ছাড়ি । কোন কথা না বাড়িয়ে,ধীরে ধীরে পা বাড়িয়ে, চারটায় চলে আসি বাড়ি।আমি সরকারি কর্মচারী। আমি সরকারি কর্মচারী।
এমনই চিত্র মঙ্গলবার ধরা পড়েছে রাজধানীর রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন জল বোর্ড অফিসে। এই অফিসে জলের ট্যাক্স দিতে এসেছিলেন বেশ কিছু গ্রাহক উনারা দশটার আগেই অফিসে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়েন নিজেদের বাড়ির জলের টেক্স দেওয়ার জন্য। কিন্তু সরকারি বাবুদের দেখা নেই।লাইনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হলেন ভোক্তারা।দশটায় অফিসে আসার কথা থাকলেও সেই সরকারি বাবুরা হেলেদুলে অফিসে এলেন সকাল প্রায় 11 টায়।
এই নিয়ে জনৈক সংশ্লিষ্ট অফিস স্টাফ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,অফিসের স্যারই এখনও আসেননি।আমাকে বলছেন কেন।
এই চৈতের এই ব্যবসা গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষন লাইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল গ্রাহকদের অসস্তি ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠে স্বাভাবিকভাবেই গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট সরকারি বাবুদের বিরুদ্ধে উসমা প্রকাশ করেন ।এরই মধ্যে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি বাবু এগিয়ে আসেন এবং অফিসে আসার বিভিন্ন অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করেন। একই সাথে সহযোগিতা করার কথা বলেন একটু অন্য সুরে।
আসলে সরকার সরকারি অফিস গুলিতে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার চেষ্টা করলেও একাংশ সরকারি বাবুদের বদান্যতায় সরকারি অফিসগুলিতে কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠতে বসেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে আর এর ফলে মানুষের মনে সৃষ্ট ক্ষোভ সরকারের উপর গিয়ে পড়ছে।যাই হোক ক্ষুব্ধ মানুষের দাবি অবিলম্বে সরকারি অফিস গলিতে কর্মসংস্কৃতি আনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হোক।আর যে সমস্ত সরকারি বাবুরা অফিসে কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতি যেন সজাগ দৃষ্টি রাখে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।