একদিকে চলছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার আয়োজন। সেসময় জীবন্ত নাবালিকা লক্ষ্মী ধর্ষিতা। ঘটনা বাগমার বীরেন কলোনি এলাকায়। যদিও ধর্ষক উজ্জ্বল দেবনাথ কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবু জীবন্ত লক্ষ্মীই যদি ধর্ষিতা হয় তবে ঘরের কোণে মাটির লক্ষ্মীপুজো করে আর লাভটা কি।
নারী শক্তির প্রতীকী দশোভূজা দুর্গা, মা লক্ষী, আরোও যতসব নারীরূপী দেবী। নারী রুপী দেবীদের পূজার্চনা কার্যত সমাজ ব্যবস্থায় নারী জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের চির প্রাচীন হিন্দু রীতি। কিন্তু হায় লক্ষ্মী পূজার সন্ধ্যায় মঙ্গলবার জীবন্ত নাবালিকা লক্ষ্মীই ধর্ষিতা। ঘটনা বাগমার বীরেন কলোনি এলাকায়। নাবালিকার মা তখন ঘরে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত। ১৩ বছরের ওই নাবালিকা ঘর থেকে রাস্তায় বের হতেই কালক্রমে বিদ্যুৎ চলে যায়। চতুর্দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সে সময় উৎপেতে থাকা মানব রুপী হায়না পার্শ্ববর্তী বাড়ির উজ্জ্বল দেবনাথ মেয়েটিকে মুখে চাপা দিয়ে তার নিজের ঘরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এর মধ্যেই মেয়েটির মা তার মেয়ের অনুপস্থিতির কারণে তাকে খুঁজাখুঁজি শুরু করে। দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুঁজির পর এই পাষণ্ড উজ্জ্বল দেবনাথের ঘর থেকে নাবালিকা জীবন্ত লক্ষ্মী উদ্ধার। শুরু হয়ে যায় নাবালিকার অভিভাবক অভিভাবিকা দের আর্তনাদ চিৎকার। ততক্ষনে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। খবর দেওয়া হয় বাগমা ফাঁড়িতে। ওসি খোকন সাহা সহ পুলিশ এসে অভিযুক্ত উজ্জল দেবনাথকে তুলে নিয়ে যায়। এবং নাবালিকাটিকে তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জীবন্ত নাবালিকা লক্ষ্মীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা নিয়ে অভিযুক্ত উজ্জল দেবনাথকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামলার নম্বর ৬৭/২০২১। মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হতেই এই উজ্জ্বল দেবনাথ মুখে চাপা দিয়ে মেয়েটিকে তার ঘরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
লক্ষ্মী পুজোর সন্ধ্যায় এলাকায় জীবন্ত নাবালিকা লক্ষ্মী ধর্ষিতা। এমন খবর ছড়িয়ে পড়তে, স্বভাবতই এলাকায় একটা উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ আসায় অবশ্য উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে যায়। এই নাবালিকা ধর্ষিতা হয়েছে বলে স্বীকার করে নিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ।
উল্লেখ্য এই নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত উজ্জ্বল দেবনাথ বহি:রাজ্যে নার্সিং পাঠরত। এমনকি এই উজ্জ্বল দেবনাথের আচার-আচরণ এলাকাবাসীর কাছে আগে থেকেই একটা সন্দেহমূলক ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। সে যাই হোক লক্ষ্মী পুজোর সন্ধ্যায় মঙ্গলবার জীবন্ত নাবালিকা লক্ষ্মী ধর্ষিতা। এক্ষেত্রে এলাকাবাসীর একটা সদর্থক ভূমিকা থাকলেও, পরিবেশ-পরিস্থিতিটা কিন্তু বিগ্রে গেল। হায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় জীবন্ত নাবালিকা লক্ষ্মী ধর্ষিতা। এই যদি হয়, তবে ঘরের কোণে মাটির লক্ষ্মীপুজো করে, আর লাভটা কি?