রাজ্যে অভূতপূর্ব প্রয়াস। আগামী ২রা মার্চ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা। এর আগে রাজ্যের সর্বত্র নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস প্রতিরোধে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গৃহীত। সে উদ্যোগে সাড়া দিয়ে, আমাদের আবেদন জিরো পোল ভায়োলেন্স এই বার্তাকে পাথেয় করে সর্বদলীয় শান্তি বৈঠক সংগঠিত করল আগরতলা ক্লাব ফোরাম।
একটা সময় রাজ্যের ক্লাবগুলো ছিল আতঙ্কের কারণ। কিন্তু ইদানিং পরিস্থিতিটা পাল্টে গেছে। একসময়ের বিভীষিকাময় ক্লাবগুলো বর্তমানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবামূলক, সমাজ সুরক্ষামূলক কাজে অধিক মনোযোগী। ক্লাবগুলোর এই বদলে যাওয়া মানসিকতা তৈরি করার ক্ষেত্রে আগরতলা ক্লাব ফোরামের অবদান অনস্বীকার্য। এবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রেও যেমন আগরতলা ক্লাব ফোরাম এগিয়ে এসেছে, তেমনি নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস প্রতিরোধেও ফোরাম উদ্যোগ গ্রহণ করলো। রাজনীতি যার যার রাজ্যটা আমাদের সবার।
আমাদের আবেদন জিরো পোল ভায়োলেন্স। এই বার্তাকে পাথেয় করে সোমবার সর্বদলীয় শান্তি বৈঠকের আয়োজন করেছে আগরতলা ক্লাব ফোরাম। মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে এদিন শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মেয়র দীপক মজুমদার, আগরতলা ক্লাব ফোরামের সভাপতি প্রণব সরকার, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসে সভাপতি বিরজিৎ সিনহা, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, সদর এসডিপিও অজয় কুমার দাস, আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক সেবক ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিজ ভাষণে ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন আগরতলা ক্লাব ফোরামের সভাপতি প্রণব সরকার।
বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন মেয়র দীপক মজুমদার। ক্লাব পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসার বার্তা দিলেন মেয়র।
নিজ ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সুযোগসন্ধানীরা ব্যক্তিগত শত্রুতার রেশ মেটানোর জন্য নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিটাকে বেছে নেয় বলে জানান
বীরজিৎ সিনহা।
নির্বাচনোত্তর শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে, দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক ভাবে প্রশ্রয় না দেওয়া হলে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব বলে জানালেন পীযূষ কান্তি বিশ্বাস।
বৈঠকে বক্তাদের ভাষণে প্রশংসিত হলেন সদর এসডিপিও। তবে সেদিকে পরোয়া না করে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে কঠোর বার্তা দিলেন অজয় কুমার দাস।
বৈঠকে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিরাও নিজেদের মতো করে শান্তি রক্ষায় মত প্রকাশ করেছেন। সর্বোপরি নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস দমনে আগরতলা ক্লাব ফোরাম যে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করেছে, তা সর্বাংশে উচ্চ প্রশংসিত।