জিবি হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার রোগীর আত্মীয়রা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে রোগীর আত্মীয়দের। ক্যাশ কাউন্টারের কর্তব্যরত কর্মচারীদের ভূমিকায় রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা এক কর্মচারীর।
রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ এক প্রকার লেগেই রয়েছে।
কখনও চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসক নার্সদের এমনকি স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের রোগির আত্মীয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ইত্যাদি যেন চলেই যাচ্ছে। এবার কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এসেছে জিবি হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারে থাকা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তাদের জন্যই রোগীর আত্মীয়দের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। জিবি হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে রোগীর আত্মীয়দের। সোমবার রাজ্যের প্রধান রেফারেল জিবি হাসপাতালের মধ্যে সকাল থেকে ক্যাশ কাউন্টারের মধ্যে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগির আত্মীয়দের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। দুইটি কাউন্টারের মধ্যে একটি ক্যাশ কাউন্টার বন্ধ থাকার ফলে এই দুর্ভোগ। তবে কেন একটি কাউন্টার বন্ধ করে রাখা হয়েছে এনিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই শুরু হয় সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। এক কর্মচারী ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে উদ্ধত হয়। দেখুন দর্শক বন্ধুরা কিভাবে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে সেই গুণধর কর্মচারী। তাদের দুর্বলতা আছে বলেই এইভাবে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করেছে তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
এম্বিয়েন্স/ সবটা
এক রোগীর আত্মীয় অভিযোগ করেন টানা দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এম আর আই করতে টাকা জমা দিতে এসেই এই হয়রানির শিকার।
এই বিষয়ে তেলিয়া মুড়া থেকে আগত এক রোগীর আত্মীয় জানান তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। একটা কাউন্টারে টাকা নিচ্ছে বলেই তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
হয়রানির শিকার হয়ে এক মহিলা বলেন রবিবার ছুটির দিন থাকায় সোমবার ক্যাশ কাউন্টারে রোগীর আত্মীয়দের এম আর আই এক্সরে করা ইত্যাদির জন্য টাকা জমা দিতে হচ্ছে। কিন্তু এইভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে তা ভাবতে পারেন নি।
রাজ্যের প্রধান রেফারেল জিবি হাসপাতালের এই ধরনের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়রা। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন রোগী ও তাদের আত্মীয়রা।