প্রশাসনের নির্দেশে এবং ইরানি থানার হস্তক্ষেপে কৈলাসহরের সফরকান্দি এলাকায় “টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি” দির্ঘ দিন পর তাদের নিজের জায়গার ফসল নিজেরা ফিরে পায় বৃহস্পতিবার। প্রশাসনের এবং ইরানি থানার ভুমিকায় সন্তোস্টি প্রকাশ করে সরকার নিয়ন্ত্রিত টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতির সদস্যরা। এব্যাপারে সমিতির ম্যানেজার মকুদ্দুস আলী জানান , ১৯৭৪সালে কৈলাসহরের সফরিকান্দি এলাকায় সমিতির পক্ষ থেকে এক হেক্টর ধানের জমি ক্রয় করা হয়েছিলো। এবং এই এক হেক্টর ধানের জমির দলিল, পরছা, ম্যাপ সবকিছুই সমিতির নামে রয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর পূর্বে কালেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মালিক আলী এই ধানের জায়গা উনার নিজের বলে প্রচার করতে থাকে। শুধু তাই নয়, মালিক আলী জোর করে এই ধানের জায়গার উপর একটি অস্থায়ী ঘরও তৈরী করেছিলো ।
পরবর্তী সময়ে টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে কৈলাসহরের মহকুমাশাসকের অফিসে মামলা করার পর ২০২০সালের একুশ ডিসেম্বর তৎকালীন মহকুমা শাসক বিশাল কুমার মামলা রায় দিয়ে ইরানি থানার পুলিশকে আদেশ দিয়েছিলেন যে, সফরিকান্দি এলাকায় এই এক হেক্টর ধানের জমির মালিক টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি। তাই, খুব শীঘ্রই ধানের জায়গার উপর অস্থায়ী ঘর ভেঙ্গে দিয়ে জমির ধান সমিতির হাতে তোলে দেওয়ার জন্য। মহকুমাশাসকের এই নির্দেশ মূলে ইরানি থানার পুলিশ গত কয়েক মাস আগে অস্থায়ী ঘরটি ভেংগে দেয়।
এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে কালেরকান্দি এলাকায় ওসি আলমগীর হোসেন সহ বিশাল পুলিশ ও টি.এস.আর বাহিনীর উপস্থিতিতে জায়গার সমস্ত ধান শ্রমিক দিয়ে কেটে টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় ।উল্লেখ্য, টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা ছয়শো পঞ্চাশ জন। প্রশাসনের নির্দেশে এবং ইরানি থানার হস্তক্ষেপে টিলাবাজার প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি তাদের ন্যায্য ভূমি সহ ফসল ফিরে পাওয়ায় সবাভাবিক ভাবেই খুশীর হাওয়া বইছে সংশ্লিষ্ট কৃষি সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে ।