পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়তে হলো দু দলকেই। মঙ্গলবার চন্দ্র মেমোরিয়াল লীগের উদ্ভোধনী ম্যাচে ঘটে এই ঘটনা। এদিন উদ্ভোধনী ম্যাচে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার মুখো মুখী হয় ত্রিপুরা পুলিশ দলের। শিল্ডে না পেলে ও লীগের প্রথম ম্যাচেই ডিফেনসে অনুপ এম এলকে পেয়ে যায় ত্রিপুরা পুলিশ। অপরদিকে লাল বাহাদুর শিবির প্রথম ম্যাচে দুই বিদেশির মধ্যে একজন বিদেশিকেই সেরা একাদশে নামায়। তবে নিট ফল কিন্তু শুন্য এই বিদেশির। কোনো প্রভাবই সে ম্যাচে ফেলতে পারলো না। কোচ খোকন সাহা তারপর ও প্রথমার্ধটা তার উপর আস্থা রাখেন। কিন্তু কিছুই করতে পারে নি এই বিদেশি। পুলিস দলের হাল ও খুব একটা সুখকর না হওয়াতে প্রথমার্ধটা একদমই মেরমেড়ে হয়।
প্রত্যাশিত ফুটবল যাকে বলে, তা কোনো দলই এই অর্ধে তুলে ধরতে পারে নি। কেবল পাস আর স্নেচিং করেই সময় অতিবাহিত করে দেয় দু দল। যার ফলে নিস্ফলাই থাকে প্রথমার্ধ। বিরতি কাটিয়ে ফের স্বকীয় মেজাজে ম্যাচ। গোল আদায়ের নেশায় তৎপর দু দলই। তবে গোল কিন্তু হচ্ছিল না ম্যাচে। ১৬ মিনিটে লাল বাহাদুরের নেওয়া একটি শট বক্সে থাকা বিক্রমের হাতে লাগতেই রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। যাকে গোলে পরিণত করে দিলো লাল বাহাদুরের রোনাল্ডো সিং সাইকুহাম। তবে লিডটা খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারে নি লালেরা। ২১ মিনিটে পাল্টা কাউন্টার এটাকে গোলটা পরিশোধ করে দেয় পুলিশ।
দূর থেকে নেওয়া বিশ্বজিৎ দেব বর্মার ফ্রি কিক সোজা লালবাহাদুরের জালে। গোলরক্ষকের ভুলের কারনেই বল সোজা জালে জড়িয়ে গেল। ১-১ অবস্থানে ম্যাচ। এই অবস্থায় দু দলই গোল ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করলে ও আখেরে কোনো লাভ হয়নি। তবে দুদলই দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় গোল ব্যবধান বাড়ানোর জন্য। কিন্তু অবশেষে তা আর হয়ে উঠে নি। সুবাদে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়ে দু দল।