বিগত কয়েকদিন পূর্বে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বর্তমানে চোখে জল, কপালে চিন্তার ভাঁজ, কি করবে তারা বুঝে উঠতে পারছে না!! গত বাংলা শ্রাবণ মাসে কৃষকরা রঞ্জিত ধানের চাষ করেছিল বুক ভরা আশা নিয়ে ।উদ্দেশ্য ছিল ভাল ফলন হবে। ফলন ভাল হয়েও ছিল।কিন্তু বরুণ দেবতার অকাল বর্ষণে কৃষকরা সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত। ধানের কৃষিজমি জলে টইটুম্বুর। কৃষি ক্ষেত্রের সোনালি ধান জলে ভিজে চারা ধানের সৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায় ।এমন চিত্র তেলিয়ামুড়া আরডি ব্লকের তৃষা বাড়ি এলাকায়।
বিশেষ করে বৃষ্টির দিন গুলিতে কৃষি জমিতে জল জমে থাকে। কারণ রেল লাইনের জন্য জল নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। এদিকে অগ্রহায়ন মাসে কৃষকদের সেই পাকা রঞ্জিত ধান কেটে তোলার সময় কালে অকাল বর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বর্তমানের দিশেহারা। সোমবার তৃষা বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল জলে টইটুম্বুর হয়ে থাকা কৃষি জমিতে কৃষকরা ধান কাটার কাজে ব্যস্ত।হাঁটু জল ভেঙ্গে শেষ আশা ধান কেটে নিয়ে আসছে কৃষকরা । যা দেখলে কৃষক কেন যে কোন অনুভূতি স ম্পন্ন মানুষের চোখে জল আস তে বাধ্য । যাহাই হোক অন্যদিকে সোনালী রোদে ধান শুকানোর ও পালা চলছে। যাতে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা লাঘব হয়।সেই চেষ্টাটাই করছে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় এক প্রবীণ কৃষক জানান, শ্রাবণ মাসে রঞ্জিত ধান রুপন করা হয়েছিল। আর সেই রঞ্জিত ধান শুখা মরশুমের শুরুতেই পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার পালা। কিন্তু অকাল বৃষ্টিতে সমস্ত আশা ভরসা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।যদিও রাজ্য প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি তত্ত্বাবধায়ক অফিসের মাধ্যমে সাহায্য সহায়তা দেওয়ার জন্য তালিকা তৈরির নির্দেশিকা জারি হয়েছে । কিন্তু গ্রামীণ এলাকার বহু কৃষক সরকারি এই নির্দেশিকা জারির কথা জানেই না।