এনএসআরসিসি চ্যাম্পিয়ন। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৪ সদর ক্রিকেটে এনএসআরসিসি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো। ফাইনালে শুক্রবার প্রতিপক্ষ চাম্পামুড়া কোচিং সেন্টারকে বীরদর্পে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ছিনিয়ে নিলো আরসিসির খেলোয়াড়েরা। খেলা এমবিবি স্টেডিয়ামে, শুরু হয়েছিল সকাল ন’টায়। বৃহস্পতিবার সুপার সিক্সের লড়াইয়ে অঘোষিত ফাইনালে হারটা যেন এনএসআরসিসি-কে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে কয়েকগুন বাড়িয়ে দিলো। কার্যত বেদব্রত, দেবজ্যোতি শঙ্খনীল-রা মাঠে সেটাই আজ করে দেখিয়েছে। স্পোর্টস কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব সরযূ চক্রবর্তী সকাল থেকেই মাঠে উপস্থিত থেকে খুদে খেলোয়াড়দের উৎসাহ যুগিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নের খেতাব পাওয়ায় খুদে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। খেলার শুরুতে টস জিতে এনএসআরসিসি-র অধিনায়ক বেদব্রত ভট্টাচার্য প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সীমিত ৪০ ওভার খেলতে পারেনি, তবে ৩৫.৫ ওভার খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেই তারা প্রতিপক্ষকে রুখে দেওয়ার এক কষে নেয়। দলের পক্ষে বেদব্রত অধিনায়কোচিত ব্যাট চালিয়ে ৩৭ বল খেলে চারটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সর্বাধিক ৪৫ রান সংগ্রহ করে। এছাড়া, সতীর্থ দেবজ্যোতি পালের ২২ রান, শঙ্খনীল সেনগুপ্তের ২০ রান এবং সুরজিৎ দেববর্মার ১৭ রান কিছুটা উল্লেখ করার মতো।
চাম্পামুড়ার বোলার বিশাল শীল ২০ রানে তিনটি, অতনু রায় ১৯ রানে দুইটি এবং অভিজিৎ শংকর দাস, স্নেহাশীষ পাল ও সাগর সূত্রধর প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পেয়েছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চাম্পামুড়ার ছেলেরা শুরু থেকেই ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়ে প্রমাদ ডেকে আনে। দলীয় ৯ রানের মধ্যে পরপর তিন উইকেট প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে এনএসআরসিসি-র বোলাররা প্রাথমিক আক্রমণে সাফল্য পেয়ে যায়। অতঃপর, চাম্পামুড়া কোচিং সেন্টারকে ৮৯ রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়। চাম্পামুরা ২৮.১ ওভার খেলতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে সাগর সূত্রধরের ৩২ রান সর্বাধিক ছিল। এছাড়া, বিশাল শীলের ১৯ রান এবং মৈনাক সাহার ১০ রান ছাড়া অন্যরা তেমন দাঁড়াতেই পারেনি। এনএসআরসিসি-র বোলার শঙ্খনীল সেনগুপ্ত ১৯ রানে এবং দেবজ্যোতি পাল ২১ রানে তিনটি করে উইকেট তুলে নেয়। এছাড়া, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ১২ রানে দুইটি এবং ঈশান্ত কুমার রাওয়াত ও বেদব্রত ভট্টাচার্য একটি করে উইকেট তুলে নেয়। পর্ষদের যুগ্ম সচিব ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানালেন।
বলে-ব্যাটে দুর্দান্ত সাফল্যের নিরিখে বেদব্রত ভট্টাচার্যকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বলাবাহুল্য, ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের সচিব অমিত রক্ষিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাথে সাথেই এমএসআরসিসি গোটা দলকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষনা করেন। টিসিএর এডভাইসারি কমিটির কনভেনার উত্তম চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন মাঠে। ম্যাচটি দারুন ভাবে উপভোগ করলেন তিনি সহ প্রত্যেকেই। জয় পেয়ে খুদে ক্রিকেটাররা ও খুবই খুশি। আনন্দে মাতোয়ারা হলো সবাই। অভিভাবকরা ও খুব খুশি হলেন টিসিএর আয়োজনে।