গোটা রাজ্যে একসময় বাইক চুরির মূল পান্ডা নামে পরিচিত ছিল পিন্টু দাস। গোটা রাজ্যের মানুষ বাইক চুরির জ্বালায় নাজেহাল ছিল।অন্তত 20 থেকে 25 টি বাইকে চুরি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল ।
এক সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুখ্যাত বাইক চোর পিন্টুকে আর কেপুর থানার ওসি বাবুল দাসের নেতৃত্বে উদয়পুর পালাটানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর এই কুখ্যাত বাইক চোর চক্রের পাণ্ডা পিন্টু দাস দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকতে হয়। মঙ্গলবার সে জেল থেকে ছাড়া পায়। আর জেল থেকে বেরিয়ে সোজা চলে আসে আর কেপুর থানায় ওসি সঙ্গে কথা বলে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তাতেই খুশি আর কেপুর থানার ওসি। তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন। এবং পরামর্শ দেন আগামী দিনের জন্য কোন ধরনের চুরির কান্ডের সঙ্গে সে নিজেকে না জরায়। পাশাপাশি কোন ব্যক্তি যদি বাইক চুরি করে সে সংবাদ যেন পুলিশকে দেয় এই আহ্বান রাখেন ওসি বাবুল দাস।
সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ এবং পিন্টু দাসকে এই ফুল দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করার বিষয়টিতে সাধারণ মানুষ সহ সচেতন মহল প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে।
নিজ কৃতকর্মের অপরাধের চূড়ান্ত অনুভব ।সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আর্জি সদ্য জেল থেকে বের হওয়া এক চোর চক্রের পান্ডার। তার নাম পিন্টু দাস ।তার এই অনুভবকে সম্মান জানিয়ে তাকে সংবর্ধিত করল আর কেপুর থানার ওসি বাবুল দাস।