নিজের অদম্য ইচ্ছা, সাহস আর কোন কিছু করার উৎসাহ থাকলে যে যেকোন প্রকারের প্রতিকূলতাকে মাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়, বর্তমান কঠিন সময়েও যে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায় তার অন্যতম দৃষ্টান্ত লাল চাঁন সরকার।কল্যাণপুর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ ঘিলাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছনখলা গ্রামের লালচান সরকার এই সময়ের মধ্যে গোটা খোয়াই জেলা সহ রাজ্যের একজন সফল মৎস্যচাষী।বর্তমান সময়ে এই মৎস্য চাষে নিত্য নতুন বিভিন্ন প্রকারের প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিজে যেমন সমৃদ্ধশালী হচ্ছেন লাল চান সরকার, ঠিক তেমনি গ্রামের বিশ থেকে ত্রিশ পরিবারের কর্মসংস্থানও করে চলেছেন নিরন্তর ভাবে।
একসময়ের দৈনিক হাজিরার কাঠমিস্ত্রি লালচান সরকার এই সময়ে একজন সফল মৎস্য চাষী। নিজের উদ্যম, কঠোর পরিশ্রমী মানসিকতা আর কিছু করার অনুপ্রেরণার সাথে সরকার তথা মৎস্য দপ্তরের সহায়তার উপর ভিত্তি করেই গ্রামীণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে চলেছেন লালচান সরকার।সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় দৃঢ়ভাবেই জানালেন বরাবরই প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে চলেছেন।
অতি সম্প্রতি মৎস্য দপ্তর লালচান সরকারকে চিংড়ি চাষে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে অর্ধ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে সহায়তা করেছে। প্রাক্তন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়ার হাত ধরে চিংড়ি চাষের বিশেষ প্রকল্পের যে পথ চলা শুরু হয়েছিল তা এখন মধ্য গগনে। আশা প্রকাশ করছেন আগামী দু এক মাসের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে গলদা চিংড়ি বাজারজাত করতে পারবেন। খোলাখুলি জানাতে ভুললেন না, যেভাবে কাজ করছেন, যেভাবে মৎস্য দপ্তর তথা সরকার সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করেছে তাতে সাফল্যহাতের নাগালে আসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
শুধুমাত্র সরকারী চাকুরীই স্বাবলম্বনের একমাত্র পথ নয়।ব্যবসা বাণিজ্য ও স্বউদ্যোগেও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।কল্যানপুরের লালচান সরকার চিংড়ি চাষ করে ইতিমধ্যে স্বাবলম্বনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।তার এই কর্মতৎপরতা ফের প্রমাণ করলো সমূহ প্রতিকূলতাকে মাড়িয়ে সাফল্যের নিশান উড্ডিয়ান করা অসম্ভব কিছু নয়।
news vanguard