ভারতের নির্বাচন কমিশন সাম্প্রতি আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী যুদ্ধের রেশ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সব কয়টি রাজনৈতিক দল এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রকৃতি নিজেদের অনুকূলে নিয়ে প্রচার অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো কে চাঙ্গা করার প্রয়াস নিয়েছে। উদ্দেশ্য সাংগঠনিক শক্তির সমূহ বিকাশ।
কেড়ে নেওয়া অর্জিত অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই আরো তেজী করার দাবিতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের একাদশ রাজ্য সম্মেলন। রাজধানীর টাউনহলে সংশ্লিষ্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা মানিক সরকার সহ খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।এদিনই সম্মেলন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন,দেশে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে হাওয়া বইছে এবং তার প্রতিফলন ঘটবে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা নির্বাচনে।
তবে বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশ বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী কটাক্ষ পরাজয়ের ভূত তাড়া করছে বামেদের। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা এও অভিযোগ করেন ত্রিপুরা রাজ্য চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসাথে তিনি ডবল ইঞ্জিন নিয়েও কটাক্ষ করেন।বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে প্রদেশ বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি পরিবর্তন এসেছে। উন্নয়নের চাকা ঘুরছে অভিনব গতিতে ।আর এসব সম্ভব হয়েছে ডবল ইঞ্জিনের কল্যানেই।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হবে 10 ফেব্রুয়ারি থেকে এবং চলবে আগামী 7 মার্চ পর্যন্ত ।এরমধ্যে উত্তরপ্রদেশে সাত দফায়, মণিপুরে দু’দফায় এবং পাঞ্জাব উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় এক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ।ফলাফল ঘোষিত হবে 10 মার্চ।