বাংলাদেশের দিনাজপুর রায় সাহেব বাড়ি এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দিরের পাশে সোমবার ভারত সরকারের অর্থায়নে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হলের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ।তিনি বলেন, আমরা কোনো দেশেই সীমান্ত হত্যা চাই না। সীমান্ত হত্যা একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি সীমান্ত হত্যা ভারত-বাংলাদেশ দেশের জন্য দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন।হাইকমিশনার বলেন,ভারতীয় সীমান্তরক্ষীকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি তাদের ওপর হামলার কোনো শঙ্কা না থাকে, তবে যেন সীমান্তে কোনো অবস্থাতেই গুলি না চালানো হয়।রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সীমান্ত হত্যা ভারতের জন্য লজ্জার এবং বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক। বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যে একদিনের মাথায় সোমবার বাংলাদেশের দিনাজপুর রায় সাহেব বাড়ি এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দিরের পাশে ভারত সরকারের অর্থায়নে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হলের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
দেরাইস্বামী বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে চোরাচালান বন্ধ করতে হবে আর এজন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। চোরাচালানের কারণে সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে। তবে আগামীতে সীমান্ত হত্যার মতো ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে ভারত সরকার সজাগ রয়েছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সীমান্ত হত্যা অনেক কমেছে দাবি করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সীমান্তে যে কোনো হত্যাকাণ্ড অথবা আহতের ঘটনা উভয় দেশের জন্যই দুঃখজনক। দুই দেশের সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা নিরসন করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জেলার কাহারোল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে একই উপজেলায় এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত দীপ্ত জীবন ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের রামকলা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে নবনির্মিত অবকাঠামো উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের এমপি ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বাংলাদেশের রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি।