আমরন অনশনের চতুর্থ দিনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও তিন জন শিক্ষক। তবে চতুর্থ দিনেও রাজ্য সরকারের তরফে কেউ এসে চাকুরির প্রতিশ্রুতি দেয়নি বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের আরটিআই মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকুরি ফিরিয়ে দেবার আর্জি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা।
রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের আমরন অনশন চতুর্থ দিনে পদার্পণ করেছে। চতুর্থ দিনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও তিনজন শিক্ষক। এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতি গ্রস্ত শিক্ষক প্রদীপ বনিক। তিনি বলেন তবে চতুর্থ দিনেও রাজ্য সরকারের তরফে কেউ এসে চাকুরির প্রতিশ্রুতি দেয়নি। পাশাপাশি বলেন সুপ্রিম কোর্টের আরটিআই মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকুরি ফিরিয়ে দেবার জন্য বার বার আর্জি জানিয়ে আসছেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা নিজেও বলেছেন শারদোৎসবের পরেই আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে সরকার একটা সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই বিষয়ে কোন ধরনের বার্তা আসেনি। প্রদীপ বনিক আরও বলেন ২০২৩ এর বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে রাজ্যের ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এর জন্য সরাসরি কাজ করছেন তারা। উপ নির্বাচনেও বিজেপির পক্ষে প্রচারে সরাসরি অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এই সরকার এত নিষ্ঠুর হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত অনশন মঞ্চের সামনে একটি মেডিক্যাল টীম পর্যন্ত পাঠায় নি।
এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক অরবিন্দ শর্মা বলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন চিকিৎসক। তিনি যথেষ্ট শিক্ষিত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ১২১ এবং ১২৭ নম্বর প্যারা নিজে পড়েই মুখ্যমন্ত্রী জান তে পারেন সুপ্রিম কোর্ট ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকুরি থেকে ছাঁটাই করার কথা বলেছে কি না? সেই সঙ্গে যদি চাকুরি না থাকে তাহলে শিক্ষা দপ্তর থেকে কেন টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হচ্ছে না?
আমরন অনশনের চতুর্থ দিনেও রাজ্য সরকারের তরফে চাকুরি ফিরিয়ে দেবার কোন ধরনের বার্তা না আসায় হতাশাগ্রস্ত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা।