প্রায় দুইশত বছর ব্রিটিশদের পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্বে 2 টি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছিল। এই দুইটি দেশ ভারত ও পাকিস্তান ।নতুন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান পথ চলা শুরু করার পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা অধুনা বাংলাদেশে বসবাসকারীদের উপর অকথ্য নির্যাতন নামিয়ে আনে পাকিস্তানি সরকার । বিশেষ করে বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালীদের উপর শোষণ নিষ্পেষণ নির্যাতন তথা অত্যাচারের মাত্রা পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের পাহারাদার সৈন্যদের এতটাই বেশি ছিলো যে এক কথায় বলা যায় অসহ্য ও অসহনীয়।
এ অবস্থায় বাংলা ভাষা ও বাঙালিরা তাদের নিজ অস্তিত্ব বজায় রাখার তাগিদে পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে। সেই সময়টা ছিল অন1 971 সাল ।বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সরকারের নিকট তাদের সাহায্য করার জন্য তথা নির্যাতনকারী পাকিস্তানি সরকার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। মানবিকতার ভিত্তিভূমিতে ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধের কান্ডারী শেখ মুজিবুর রহমানের এই অনুরোধ অবজ্ঞা করতে পারেনি ।একটা সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা ভারতের উপর সামরিক আক্রমণ সানায়। ভারতের সামরিক বাহিনীও এর মোক্ষম জবাব দেয় ।ফলে একটা সময় পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। 1971 সালে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত যে সমস্ত জওয়ানরা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের অবদান সত্যিই গৌরবের। এরই অংশ হিসেবে আগামী 16 ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের 50 তম বার্ষিকী প্রতিপালিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের এই বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সাবরুমে অবস্থিত ফেনী নদীর উপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুতে বিএসএফ এর 96 ব্যাটালিয়ন এর উদ্যোগে এক সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে 1971 সালে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধে অংশ নেওয়া তদানীন্তন সময়ে বিএসএফে কর্মরত চার জোয়ান কে সংবর্ধিত করা হয়। এরা হলেন সুধাংশু রঞ্জন সোম। নিত্যানন্দ দেবনাথ। মোবারক হোসেন ও অভিজিৎ কুমার কর।সংবর্ধনা হাতে নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ জোয়ান সুধাংশু রঞ্জন সোম জানান 1962 সাল থেকেই তিনি বিএসএফ এ কর্মরত ছিলেন। তিনি 1971 সালের যুদ্ধে বিভিন্ন পরিস্থিতি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন.