রাজ্যের বিশেষ করে উত্তর জেলায় প্রাকৃতিক উপায়ে আগরের বহুল চাষ হয়ে থাকে। ব্যবসায়ী থেকে গৃরস্থ ওই এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই চাষ কিংবা অবহেলিতভাবেও বহু আগর গাছ রয়েছে। যা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বহুমূল্যবান অর্থকরী ফসল। তার মূল উপকরণ হলো এক ধরনের গুটিপোকা। আগর গাছকে ঐ পোকা যত বেশি কাটবে ততই গাছের মূল্য বৃদ্ধি হবে। এভাবে একটি গাছ পাঁচ হাজার থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে বিক্রি হয়ে থাকে। তাতে কোন কৃত্রিম সার ও ঔষধ প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু তারপরও উত্তর জেলার একাংশ ব্যবসায়ী অসমের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কৃত্রিম উপায়ে আগর তৈরি করছে। যার ফলে গাছগুলি একেবারে বিনষ্ট হয়ে যায় । তাছারা ওই আগর থেকে যে সুগন্ধি ও জ্বালানি তেল বের হয় তার বহু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যায় বলে জানান চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
কৃত্রিম উপায়ে ক্যাপসুল ও লিকুইড মেডিসিন গাছের ভিতর ঢুকানো হয়ে থাকে তাতে ওই গাছে ধীরে ধীরে পচন ধরে। তারপর ঐ গাছের যে তেল বের হয় এবং তা বাজারে দশহাজার টাকা দামে প্রতি কিলো বিক্রি হয়। তাছাড়া তার বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিকিয়া থেকে যায়। যা দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং বিদেশে ত্রিপুরার আগরের যে সুনাম রয়েছে তার বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চাষিরা।তাছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি আগরের তেল প্রতি কিলো ত্রিশ হাজার থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় বিদেশের বাজারে এবং তা সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন। তাই জেলার কৃষকরা ওই কৃত্রিম উপায়ে আগর চাষ না করার জন্য রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।এখন দেখার সংশ্লিষ্ট দপ্তর এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ।